Groak-এর জন্য ১২ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেবে ইলন মাস্ক, জেনেনিন কি পরিকল্পনা?

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) খাতে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে টিকে থাকতে এবার বড় অঙ্কের তহবিল সংগ্রহের পথে হাঁটছে ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান এক্স-এআই (xAI)। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠানটি তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণের জন্য প্রায় ১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছে। এই বিশাল অঙ্কের অর্থ দিয়ে একটি বৃহৎ ডেটা সেন্টার তৈরি করা হবে, যা এআই খাতে এক্স-এআইকে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, মাস্কের দীর্ঘদিনের সহযোগী অ্যান্টনিও গ্রাসিয়াস পরিচালিত ভ্যালর ইক্যুইটি পার্টনার্স এই ঋণ সংগ্রহের নেতৃত্ব দিচ্ছে। এই অর্থ দিয়ে এনভিডিয়ার অত্যাধুনিক জিবি২০০ এবং জিবি৩০০ সিরিজের চিপ কেনা হবে। এই চিপগুলো ব্যবহার করে একটি শক্তিশালী ‘সুপারক্লাস্টার’ তৈরি করা হবে, যেখানে প্রাথমিকভাবে প্রায় ৫ লক্ষ ৫০ হাজার গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট (GPU) থাকবে।

ইলন মাস্ক নিজেই সম্প্রতি জানিয়েছেন যে, বর্তমানে এক্স-এআই-এর ডেটা ক্লাস্টারে ২ লক্ষ ৩০ হাজার জিপিইউ কাজ করছে। নতুন সুপারক্লাস্টার চালু হলে, তাদের চ্যাটবট “গ্রোক” (Grok)-এর প্রশিক্ষণ ও পরিচালন ক্ষমতা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে, যা তাদের প্রতিযোগিতায় এক ধাপ এগিয়ে দেবে।

এক্স-এআই-এর এই উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনায় সম্ভাব্য খরচও অনেক। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০২৫ সালেই এক্স-এআই-এর সম্ভাব্য খরচ ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হতে পারে। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, ঋণদাতারা ঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রেখে ঋণের মেয়াদ তিন বছর নির্ধারণ এবং ঋণের পরিমাণে সীমা বেঁধে দেওয়ার কথা ভাবছে। এক্স-এআই বা ভ্যালর ইক্যুইটি পার্টনার্সের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ওপেনএআই, গুগল এবং চীনের ডিপসিক-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খাতে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য শক্তিশালী কম্পিউটিং অবকাঠামো এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ অপরিহার্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন সময়ে এক্স-এআই-এর এই উদ্যোগ স্বাভাবিক হলেও, এত বড় অঙ্কের ঋণ নিয়ে তারা কতটা ঝুঁকি নিচ্ছে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।