ফ্রিজ বিস্ফোরণ থেকে বাঁচতে যেসব দিকে নজর দেবেন, জেনেনিয়ে থাকুন সতর্ক

আধুনিক জীবনে রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ একটি অপরিহার্য গৃহস্থালী সরঞ্জাম। বিশেষ করে গরমের সময় খাবার টাটকা রাখতে এর কোনো বিকল্প নেই। সঠিক নিয়মে ব্যবহার করলে ফ্রিজ দীর্ঘদিন কার্যকর থাকে। তবে ভুল ব্যবহার বা সামান্য অসাবধানতার কারণে ফ্রিজ খারাপ হতে পারে, এমনকি বিস্ফোরণের মতো মারাত্মক দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে।

তবে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে এই ধরনের বড় বিপদ এড়ানো সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক, কী কী কারণে ফ্রিজে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে এবং তা থেকে সুরক্ষিত থাকতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত-

  • ত্রুটিপূর্ণ তারের সংযোগ: পুরোনো ফ্রিজের তারের সংযোগ দুর্বল হয়ে গেলে তা থেকে শর্ট সার্কিট হয়ে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। তাই, আপনার রেফ্রিজারেটর যদি অনেক পুরনো হয়, নিয়মিত তারের সংযোগ পরীক্ষা করুন। ক্ষতিগ্রস্ত তার অবিলম্বে পরিবর্তন করুন। খারাপ তারের কারণে কম্প্রেসার অতিরিক্ত গরম হয়েও বিস্ফোরণের ঝুঁকি বাড়ে।

  • পর্যাপ্ত বায়ু চলাচলের অভাব: ফ্রিজের পেছনের দিকে এবং চারপাশে পর্যাপ্ত ফাঁকা জায়গা রাখা জরুরি। দেওয়াল ঘেঁষে ফ্রিজ রাখলে বাতাস চলাচল ব্যাহত হয়, ফলে ফ্রিজ অতিরিক্ত গরম হতে শুরু করে। অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে রেফ্রিজারেটরে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই দেওয়াল ও ফ্রিজের মধ্যে অন্তত কয়েক ইঞ্চি ফাঁকা জায়গা রাখুন।

  • পুরোনো কম্প্রেসার: ১০ বছরের বেশি পুরোনো রেফ্রিজারেটরের কম্প্রেসারে সমস্যা দেখা দিতে পারে। পুরোনো কম্প্রেসার অতিরিক্ত গরম হতে পারে বা গ্যাস লিক হতে পারে, যা বিস্ফোরণের কারণ হতে পারে। তাই পুরোনো ফ্রিজ নিয়মিত সার্ভিসিং করানো এবং কম্প্রেসার পরীক্ষা করানো জরুরি।

  • শর্ট সার্কিট: বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট যেকোনো সময় ফ্রিজে বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে। তাই বিদ্যুতের সংযোগ যেন ত্রুটিমুক্ত থাকে, তা নিশ্চিত করুন। নিয়মিতভাবে (বছরে অন্তত দুবার) একজন দক্ষ টেকনিশিয়ান দিয়ে আপনার রেফ্রিজারেটর পরীক্ষা করানো উচিত। নিয়মিত সার্ভিসিং করালে বড় ধরনের সমস্যা এড়ানো সম্ভব।

সচেতনতা এবং সামান্য সতর্কতা অবলম্বন করে আপনি আপনার ফ্রিজকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন এবং অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা থেকে নিজেকে ও আপনার পরিবারকে রক্ষা করতে পারেন।