ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ই–মেইলের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে নতুন এনক্রিপশন প্রযুক্তি নিয়ে এল গুগল। এই নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জিমেইল ব্যবহারকারীরা এখন থেকে আরও সহজে এনক্রিপ্টেড ই–মেইল পাঠাতে পারবেন। গুগল জানিয়েছে, এই প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য প্রেরক এবং প্রাপককে আলাদা কোনো সফটওয়্যার ইনস্টল করার বা এনক্রিপশন সার্টিফিকেট আদান-প্রদান করার প্রয়োজন হবে না। ফলে, প্রচলিত এনক্রিপশন পদ্ধতির তুলনায় এটি অনেক বেশি সহজ এবং ব্যবহারবান্ধব হবে।

গুগলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গতকাল বুধবার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে এই নতুন এনক্রিপশন প্রযুক্তি চালু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে, এই সুবিধার মাধ্যমে শুধুমাত্র একই প্রতিষ্ঠানের জিমেইল ব্যবহারকারীদের মধ্যে এনক্রিপ্টেড ই–মেইল পাঠানো সম্ভব হবে। তবে, সংস্থাটি জানিয়েছে যে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এটি সমস্ত জিমেইল ব্যবহারকারীর জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। নতুন এই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ক্লায়েন্ট-সাইড এনক্রিপশন প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এর ফলে ‘এনক্রিপশন কি’ ব্যবস্থাপনার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের হাতে। তবে উল্লেখ্য, এই প্রযুক্তিটি পুরোপুরি এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশন নয়।

বর্তমানে জিমেইল সিকিউর মাল্টিপারপাস ইন্টারনেট মেইল এক্সটেনশনস (S/MIME) প্রটোকলের মাধ্যমে এনক্রিপশন সুবিধা প্রদান করে থাকে। কিন্তু এই পদ্ধতিতে বাহ্যিক ই–মেইল প্রেরণের ক্ষেত্রে প্রাপককে এই প্রটোকল কনফিগার করতে হয়, যা তুলনামূলকভাবে জটিল। নতুন এনক্রিপশন প্রযুক্তি চালু হওয়ার পরে এই জটিলতা অনেকাংশে হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

নতুন এনক্রিপশন প্রযুক্তিতে ই–মেইল লেখার সময় ব্যবহারকারীরা ‘অ্যাডিশনাল এনক্রিপশন’ অপশনটি চালু করলেই বার্তাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনক্রিপ্ট হয়ে যাবে। যদি প্রাপক জিমেইল ব্যবহার না করেন, তবে তিনি একটি বিশেষ লিংক পাবেন। সেই লিংকের মাধ্যমে অতিথি হিসেবে গুগল ওয়ার্কস্পেস অ্যাকাউন্টে সাইন ইন করে তিনি ই–মেইলটি পড়তে পারবেন এবং তার উত্তরও দিতে পারবেন।

এই নতুন এনক্রিপশন প্রযুক্তি ব্যবসায়িক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ডেটা সুরক্ষা এবং গোপনীয়তা বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্র: দ্য ভার্জ