স্মার্টফোনের বেল্ট থেকেও হতে পারে ক্যানসার, সতর্ক করে বলছে গবেষকরা

স্মার্টওয়াচ এখন বেশ জনপ্রিয় একটি ডিভাইস। ছোট-বড়, নারী-পুরুষ সবার পছন্দের তালিকায় আছে এটি। শুধু যে সময় দেখা, কিংবা এর নানান ফিচার আকর্ষণের কারণ তা কিন্তু নয়। ফ্যাশনেও এখন স্মার্টওয়াচ যুক্ত হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার স্মার্টওয়াচ আছে বাজারে।

তবে স্মার্টওয়াচ একদিনে যেমন আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা সারাক্ষণ আপডেট দিচ্ছে। আপনার রক্তের অক্সিজেনের পরিমাণ, হার্টবিট, প্রেশার সবকিছু একটু এদিক সেদিক হলেই জানান দিচ্ছে স্মার্টওয়াচ। এমনকি শরীর ঠিক রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘুম, তারও খেয়াল রাখে স্মার্টওয়াচ।

তবে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যের বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে স্মার্টওয়াচ, এমনটাই উঠে এসেছে গবেষকদের গবেষণায়। বছরখানিক আগে একটি গবেষণায় জানা গিয়েছিল যে বিভিন্ন স্মার্টওয়াচ এবং ফিটনেস ব্র্যান্ডের স্ট্র্যাপ থেকে বিভিন্ন ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে শরীরে।

এবার একই রকম একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে স্মার্টওয়াচের সঙ্গে যে স্ট্র্যাপ থাকে সেগুলোতে ক্ষতিকারক পিএফএইচএক্সএ অ্যাসিড থাকে যা কি না ক্যানসারের কারণ হতে পারে। এই পিএফএইচএক্সএ আসলে এক ধরনের বিপজ্জনক রাসায়নিক যাকে ‘ফরেভার কেমিক্যাল’ বলা হয় অর্থাৎ এগুলো কোনো অবস্থাতেই বিনষ্ট হয় না, আর এগুলো শরীরে দীর্ঘ সময় থাকলে ক্যান্সার দেখা দিতে পারে।

এই গবেষণায় ব্যবহার করা হয়েছে গুগল, স্যামসাং, অ্যাপল, ফিটবিটের মত বহু নামিদামি সংস্থার স্মার্টওয়াচ। নির্মাতা সংস্থাগুলো তাদের স্মার্টওয়াচের স্ট্র্যাপে ফ্লুরোইলাস্টোমার নামে এক ধরনের সিন্থেটিক রবার ব্যবহার করে থাকে। গবেষকরা এই রবারের মধ্যেই উচ্চ মাত্রায় পিএফএইচএক্সএ-র উপস্থিতি লক্ষ্য করেছেন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

গবেষকরা জানিয়েছেন যে ১২ ঘণ্টার বেশি সময় যদি প্রতিদিন এই ব্যান্ডের পিএফএইচএক্সএ মানুষের ত্বকের সংস্পর্শে থাকে, তাহলে তা বিপজ্জনক হতে পারে। গবেষণার অন্তর্ভুক্ত স্ট্র্যাপগুলোতে এই উপাদান রয়েছে গড়ে প্রতি বিলিয়নে ৮০০ অংশ। একটি স্ট্র্যাপে এই উপাদান রয়েছে ১৬ হাজার শতাংশ যা কি না কোনো প্রসাধনীতে পাওয়া ক্ষতিকর ক্যানসার-বর্ধক উপাদানের থেকে ৪ গুণ বেশি। সেখানে বড় কোম্পানির স্মার্টওয়াচগুলোর স্ট্র্যাপে প্রচুর পরিমাণে পিএফএইচএক্সএ পাওয়া গিয়েছে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, ফিটনেস ব্যান্ডের ক্ষেত্রেও এই রবার ব্যবহার করা হয়। রবারে উপস্থিত এই অ্যাসিড যখনই ঘামের সংস্পর্শে আসে, তখনই তা ত্বকের লোমকূপ দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। প্রায় ৫০ শতাংশ অ্যাসিড ঢুকে যেতে পারে শরীরের ভেতরে এবং তার তিনভাগের একভাগ অংশ মিশে যায় রক্তের মধ্যে। তাই ব্যবহারকারীদের ক্যানসারের ঝুঁকি রয়েছে অনেক।

সূত্র: ডেইল মেইল

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy