দূরে কোথাও ভ্রমণে গেলে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় হাতে থাকা স্মার্টফোনটি। বাসে কিংবা ট্রেনে সময় কাটাতে গান শোনা ও সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রল করা, আবার গন্তব্যে পৌঁছে স্মৃতি ধরে রাখতে অসংখ্য ছবি তোলা। কাজ যেটাই হোক, সারা দিন ফোন ব্যবহার হলে ব্যাটারি ড্রেন হওয়াটা স্বাভাবিক। তবে আইফোনের ক্ষেত্রে একটি বড় অভিযোগ হচ্ছে, চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়া। যদিও অনেকেই বলেন, বিষয়টি নির্ভর করে ব্যবহারের ধরনের ওপর। কয়েকটি পদ্ধতি অবলম্বন করে গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য আইফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ দীর্ঘস্থায়ী করা সম্ভব—
লো পাওয়ার মোড চালু করা
আইফোনের ব্যাটারি ব্যাকআপ দীর্ঘস্থায়ী করার সহজ উপায় হলো ‘লো পাওয়ার মোড’ চালু করা, যা চালু করলে স্বয়ংক্রিয় ডাউনলোড, বারবার মেইল চেক, নির্দিষ্ট কিছু ভিজুয়াল ইফেক্ট বন্ধ হয়ে যায়। অটো-লকের সময় ৩০ সেকেন্ডে নেমে আসে এবং ডিসপ্লে রিফ্রেশ রেট ৬০ হার্টজ নির্ধারিত হয়। সব মিলিয়ে ব্যাটারির ব্যবহার কমে আসে। সেটিংসের অধীনে ব্যাটারি অপশন থেকে ‘লো পাওয়ার মোড’ পাওয়া যাবে।
কিবোর্ড হ্যাপটিক বন্ধ করা
টাইপিংয়ে ভাইব্রেটিং অনুভূতি দেয় হ্যাপটিক ফিডব্যাক, যা টাইপিং অভিজ্ঞতাকে ভিন্নমাত্রা দেয়। এর কারণে বাড়তি ব্যাটারিও খরচ হয়। ফিচারটি বন্ধ করতে সেটিংসের অধীনে ‘সাউন্ডস অ্যান্ড হ্যাপটিকস’ অপশনে যেতে হবে। সেখানে ‘কিবোর্ড ফিডব্যাক’ থেকে হ্যাপটিক ফিচার বন্ধ করা যাবে।
স্ক্রিন ব্রাইটনেস কমানো
আইফোনের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যাটারি খরুচে হচ্ছে ডিসপ্লে। যত বেশি ব্রাইটনেস থাকবে তত দ্রুত ব্যাটারি ব্যাকআপ শেষ হতে থাকবে। সেজন্য পারতপক্ষে ব্রাইটনেস যতটা পারা যায় কম রাখা উচিত। কন্ট্রোল সেন্টার থেকে সহজেই ব্রাইটনেস কমানো-বাড়ানো যাবে। পাশাপাশি অটো-ব্রাইটনেসও নির্ধারণ করা যাবে, যা আলোর তারতম্যের ভিত্তিতে ডিসপ্লের ব্রাইটনেস কম বেশি করবে।
অফলাইনে ব্যবহারের জন্য ডাউনলোড
কোথাও ঘুরতে গেলে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হয় ম্যাপের। অ্যাপল বা গুগল অফলাইন ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট এলাকার ম্যাপ ডাউনলোড করার সুযোগ দিয়ে থাকে। জিপিএস সুবিধার সাহায্যে ইন্টারনেট ছাড়াই তখন ম্যাপ ব্যবহার করা যায়। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ফাইল, গান বা ভিডিও পরবর্তী সময়ে ব্যবহারের জন্য ডাউনলোড করে রাখা যায়। এর মাধ্যমে প্রয়োজনের সময় কম ব্যাটারি খরচ করে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সেরে নেয়া সম্ভব।
অলওয়েজ অন ডিসপ্লে বন্ধ করা
আইফোন ১৪ প্রো ও পরবর্তী প্রো মডেলে অলওয়েজ অন ডিসপ্লে ফিচারটি রয়েছে। দ্রুত উইজেট, সময় ও নোটিফিকেশন দেখার ক্ষেত্রে এ ফিচার বেশ কাজের। তবে এর জন্য ডিসপ্লে সবসময় সক্রিয় থাকে। ফলে বেশ খানিকটা ব্যাটারি খরচ হয়। সেটিংসের অধীনে ‘ডিসপ্লে অ্যান্ড ব্রাইটনেস’ অপশন থেকে ফিচারটি বন্ধ করা যাবে।
লোকেশন পরিষেবা বন্ধ করা
লোকেশন নির্ধারণ করতে ডিভাইস জিপিএস, ওয়াইফাই ও সেলুলার ডাটা ব্যবহার করে থাকে। অসংখ্য অ্যাপ লোকেশন পরিষেবা ব্যবহার করে থাকে। ফলে অধিকাংশ সময় অপ্রয়োজনীয় ব্যাটারি খরচ হতে থাকে। সেটিংসের অধীনে ‘প্রাইভেসি অ্যান্ড সিকিউরিটি’ অপশনে লোকেশন সার্ভিসেস ফিচার পাওয়া যাবে। সেখান থেকে অ্যাপভেদে পরিষেবাটি বন্ধ করা যাবে।