পুরোনো এসি কেনার আগে যেসব বিষয়ে খেয়াল রাখবেন, জেনেনিন গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়

গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে এয়ার কন্ডিশনার বা এসি এখন আমাদের জীবনে এক অপরিহার্য অংশ। বিশেষ করে শহরাঞ্চলে গরম থেকে রেহাই পেতে এসির ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। তবে নতুন এসি কেনার খরচ অনেকের বাজেটেই কুলোয় না। সেক্ষেত্রে সেকেন্ড হ্যান্ড বা পুরনো এসি কেনা একটি লাভজনক বিকল্প হতে পারে। পুরনো এসি বিক্রি করে এমন দোকান বা কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে এটি কিনতে পারেন।

তবে পুরনো এসি কেনার আগে অবশ্যই কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ভালোভাবে যাচাই করে নেওয়া উচিত। তা না হলে ভুল এসি কিনে একদিকে যেমন আপনার উদ্দেশ্য পূরণ হবে না, তেমনই আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। নিউজ১৮ সূত্রে পুরনো এসি কেনার আগে যে বিষয়গুলিতে নজর রাখা জরুরি, সেগুলি নিচে আলোচনা করা হলো:

সেকেন্ড হ্যান্ড এসি কেনার আগে জরুরি যাচাই:

১. ব্র্যান্ড এবং বয়স: পুরনো এসি কেনার আগে সবার আগে দেখুন সেটি কোন কোম্পানির তৈরি। পরিচিত ও ব্র্যান্ডেড সংস্থার এসি কেনা বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ এগুলির পারফরম্যান্স এবং পরিষেবা সাধারণত ভালো হয়। এছাড়াও এসিটি কতটা পুরোনো এবং কতদিন ধরে সেটি ব্যবহার করা হয়েছে, সে সম্পর্কে বিক্রেতার কাছে ভালোভাবে জেনে নিন।

২. বিল ও মেরামত সুবিধা: এসিটির আসল বিল আছে কিনা, তা চেক করুন। বিল দেখে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন সেটি কতদিনের পুরনো। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, যদি ভবিষ্যতে এসিটি মেরামত করার প্রয়োজন হয়, তাহলে কোম্পানির কাছ থেকে সেই সুবিধা পাবেন কি না, তা বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জেনে নিন। খুব বেশি পুরনো বা যে মডেলের পার্টস সহজে পাওয়া যায় না, এমন এসি না কেনাই ভালো।

৩. গ্যাস স্ট্যাটাস ও ইনভার্টার বনাম নন-ইনভার্টার: এসি কেনার আগে অবশ্যই টেকনিশিয়ান দিয়ে এসির গ্যাসের অবস্থা পরীক্ষা করিয়ে নিন। ভবিষ্যতে গ্যাস লিক হলে বা ফুরিয়ে গেলে তা পূরণ করা বেশ খরচসাপেক্ষ হতে পারে। এছাড়াও, সম্ভব হলে ইনভার্টার এসি কেনার চেষ্টা করুন। ইনভার্টার এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী হয় এবং দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুতের বিল কমাতে সাহায্য করে, যা নন-ইনভার্টার এসির ক্ষেত্রে হয় না। নন-ইনভার্টার এসি দামে সস্তা হলেও বিদ্যুৎ বিল কিছুটা বাড়িয়ে দিতে পারে।

৪. ফিল্টার এবং কার্যকারিতা: এসির ভেতরের ফিল্টারটির অবস্থা ভালোভাবে চেক করুন। খুব বেশি পুরনো বা অপরিষ্কার ফিল্টার লাগানো এসি কেনা লাভজনক নয়, কারণ এটি এসির কার্যকারিতা কমিয়ে দেয় এবং স্বাস্থ্যের জন্যও খারাপ হতে পারে। ফিল্টার ঠিকঠাক কাজ করছে কিনা এবং প্রয়োজনে সেটি পরিবর্তন করা সহজ কিনা, তা যাচাই করে নেওয়া ভালো।

৫. স্টার রেটিং: এসির স্টার রেটিং দেখে নিন। ফাইভ স্টার এসি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের দিক থেকে সবচেয়ে ভালো। যদি ফাইভ স্টার না পান, অন্তত থ্রি স্টারের এসি হলেও ক্ষতি নেই। তবে স্টার রেটিং কম হলে এসিটির ঠান্ডা করার ক্ষমতা বা কার্যকারিতা কতটা, সেটি ভালোভাবে পরীক্ষা করে নেওয়া দরকার।

এই বিষয়গুলি ভালোভাবে যাচাই করে সেকেন্ড হ্যান্ড এসি কিনতে পারলে আপনি গরম থেকে স্বস্তি পাওয়ার পাশাপাশি আপনার অর্থও সাশ্রয় করতে পারবেন এবং ঠকে যাওয়ার সম্ভাবনাও অনেকটা কমে যাবে।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy