কীভাবে, কখন ও কোন পরিস্থিতিতে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স চীনে চালু করা যেতে পারে তা নিয়ে দেশটির বড় বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছে আইফোন নির্মাতা কোম্পানিটি।
এজন্য চীনের প্রযুক্তি কোম্পানি ‘টেনসেন্ট’ ও টিকটকের মূল কোম্পানি বাইটড্যান্স-এর সঙ্গে আইফোন ১৬ এর সঙ্গে বাজারে চালু হওয়া বিভিন্ন এআই ফিচার নিয়ে আলোচনা করছে কুপারটিনোভিত্তিক এই টেক জায়ান্ট।
বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট তিনটি সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে রয়টার্স লিখেছে, চীনে বিক্রি হওয়া বিভিন্ন আইফোনে অ্যাপলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেলগুলোকে কীভাবে একীভূত করা যায়– এটাই হচ্ছে আলোচনার মূল বিষয়।
সম্প্রতি অ্যাপলের এআই ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’র অংশ হিসাবে নিজেদের বিভিন্ন ডিভাইসে ওপেনএআইয়ের চ্যাটজিপিটি চালু করেছে অ্যাপল। যা কোম্পানিটির ভয়েস অ্যাসিসট্যান্ট ‘সিরি’কে উন্নত এআই সক্ষমতা দেবে; বিশেষ করে– ছবি ও নথি সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার বেলায়।
তবে চীনে চ্যাটজিপিটি ব্যবহারের সুযোগ নেই। কারণ, যে কোনো ধরনের জেনারেটিভ এআই পরিষেবার জন্য চীন সরকারের অনুমোদন নেওয়া বাধ্যতামূলক।
এ কারণেই অ্যাপলকে চীনের স্থানীয় বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে অংশীদারিত্ব নিয়ে যোগাযোগ করার পাশাপাশি সতর্কতার সঙ্গে এসব কোম্পানি খুঁজে বের করতে হচ্ছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
একইসঙ্গে চীনের নিয়ন্ত্রক সংস্থার শর্তাবলীও পূরণ করতে হবে অ্যাপলকে। বিশেষ করে এমন মুহুর্তে যেখানে দেশটির বাজারে অ্যাপলের প্রভাব কমে যাচ্ছে।
সূত্র বলছে, টেনসেন্ট ও বাইটড্যান্সের সঙ্গে অ্যাপলের আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। অ্যাপল বা টেনসেন্ট কেউই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। বাইটড্যান্সও এ বিষয়ে ‘স্পিকটি নট’।
চীনের কোম্পানি ‘বাইদু’র এআই মডেল ব্যবহার করা যায় কি না সেজন্য অনুসন্ধান চালাচ্ছে অ্যাপল। তবে এখানে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে আইফোন ব্যবহারকারীর ডেটা ব্যবহার নিয়ে বিরোধ’সহ প্রযুক্তিগত বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ।