
অ্যাপলের আইপড প্রস্তুতকারক টনি ফ্যাডেল সম্প্রতি মেটাভার্সের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘তথাকথিত মেটাভার্স মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। এই ভার্চুয়াল রিয়েলিটিভিত্তিক প্রযুক্তির কারণে মানুষ আর অন্য মানুষের মুখের দিকে তাকাবে না। আপনি যদি মানুষের পারস্পরিক সংযোগের মধ্যে প্রযুক্তি রাখেন, তবে সেখানে বিষ ঢুকবেই।’ ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
মেটাভার্স এমন এক ভার্চুয়াল বিশ্ব, যেখানে যন্ত্রের মাধ্যমে নিজেকে যুক্ত করে, অন্তত তাত্ত্বিকভাবে, যেকোনো কাজই করতে পারবেন কোনো ব্যক্তি। এটি সাধারণত গেম খেলার জন্য বেশি ব্যবহৃত হবে, তবে সংগীত-কনসার্টের মতো আয়োজনগুলোতেই ব্যবহার করা হবে।
ফেসবুকের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ মেটাভার্সের পেছনে লাখ লাখ ডলার বিনিয়োগ করেছেন এবং হাজার হাজার কর্মী নিয়োগ করেছেন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ ও ওকুলাসের মালিক জাকারবার্গ গত বছর তাঁর মূল কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে ‘মেটা’ রেখেছেন।
টনি ফ্যাডেল বলেছেন, ‘মেটাভার্স অবশ্যই প্রযুক্তির অনন্য উদ্ভাবন। কিন্তু আপনি যখন সামাজিক মিথস্ক্রিয়া ও সামাজিক সংযোগ তৈরি করার চেষ্টা করবেন, কিন্তু যার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন তার মুখ দেখতে পাবেন না, চোখে চোখ রাখতে পারবেন না, তখন সেটা আর বাস্তবসম্মত মানবিক যোগাযোগ হবে না।’
মেটাভার্স মানুষকে বিচ্ছিন্ন করবে বলেও মন্তব্য করেন টনি ফ্যাডেল। তিনি বলেছেন, ‘ভার্চুয়াল রিয়েলিটির মাধ্যমে যোগাযোগের সময় মানুষ অনেক কিছুই লুকিয়ে রাখতে সক্ষম হবে। এতে সে মানুষের মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্য অনেক কিছু লুকিয়ে রেখে অন্যায্য সুবিধা আদায় করতে পারবে।’
টনি ফ্যাডেল বলেন, ‘আমাদের মানবিক যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করতে হবে। আমাদের আর প্রযুক্তির প্রয়োজন নেই।’