আর্থিক লেনদেনের নেটওয়ার্ক হিসেবে বিটকয়েনের কোনো ভবিষ্যৎ দেখছেন না ক্রিপ্টো এক্সেচেঞ্জ ‘এফটিএক্স’ প্রধান স্যাম ব্যাংকম্যান-ফ্রিড।
ক্রিপ্টো মুদ্রা হিসেবে বিটকয়েনের নানা অকার্যকারীতা আর পরিবেশের ওপর মাইনিংয়ের বিরূপ প্রভাবের সমালোচনাও করেছেন এই শতকোটিপতি উদ্যোক্তা।
সম্প্রতি বাণিজ্য প্রকাশনা ফাইন্যানশিয়াল টাইমসের কাছে বিটকয়েন নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন ব্যাংকম্যান-ফ্রিড। আর তাতেই উঠে এসেছে বিশ্বের বৃহত্তম ক্রিপ্টো মুদ্রাটি নিয়ে তার আক্ষেপের বিষয়গুলো।
বিকল্প হিসেবে ‘প্রুফ অফ স্টেক’ নেটওয়ার্ক-এর কথা বলেছেন ব্যাংকম্যান-ফ্রিড। এতে অংশগ্রহণকারীরা টোকেন কিনে নেটওয়ার্কে অংশ নিতে পারবেন। ব্যবহারকারীর মালিকানায় যতো বেশি টোকেন থাকবে, তিনি ততো বেশি মাইনিংয়ের সুযোগ পাবেন।
এ প্রসঙ্গে এফটিএক্স প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ব্যাংকম্যান-ফ্রিড বলেছেন, ক্রিপ্টো মুদ্রাকে আর্থিক লেনদেনের নেটওয়ার্ক হিসেবে ব্যবহার করতে চাইলে ‘প্রুফ অফ স্টেক’ নেটওয়ার্ক লাগবেই; কারণ এই নেটওয়ার্কগুলোর খরচ কম, বিদ্যুৎ খরচও কম হয়।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিপ্টো মুদ্রা ইথেরিয়ামের ব্লকচেইনও এখন এমনই নেটওয়ার্কে স্থানান্তরের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বিটকয়েনকে ক্রিপ্টো মুদ্রা হিসেবেই ব্যবহৃত হতে হবে– এমনটা বিশ্বাস করেন না বলে মন্তব্য করেছেন এফটিএক্স প্রধান। বরং, সম্পদ হিসেবে মূল্যায়নেই বিটকয়েনের ভবিষ্যৎ দেখছেন তিনি।
২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের পর এ বছরের মে মাসে সর্বোচ্চ দরপতন হয়েছে বিটকয়েনের। কথিত স্টেবলকয়েন ‘টেরাইউএসডি’র দামে ধস নামার প্রভাব পড়েছে বাজারের অন্যান্য ক্রিপ্টো মুদ্রার ওপরেও।
২০১৯ সালে এফটিএক্স প্রতিষ্ঠা করেন ব্যাংকম্যান-ফ্রিড। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসেই ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জটি তিন হাজার দুইশ কোটি ডলার দামে মূল্যায়ন হয়েছে।
অন্যদিকে ফোর্বসের হিসেবে অনুযায়ী, ব্যাংকম্যান-ফ্রিড নিজেও একজন ধনকুবের। তার ব্যক্তিগত সম্পদের পরিমাণ দুই হাজার একশ কোটি ডলার।