এই মুহূর্তে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ। প্রায় শতভাগ স্মার্টফোন ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছেন। ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকার কারণে মেটার এই প্ল্যাটফর্মটিও দিনদিন নিজেকে আপডেট করে চলেছে।
গত কয়েকমাস ধরে হোয়াটসঅ্যাপের মাল্টি ডিভাইস ফিচারের বিটা টেস্টিং চলছিল। এবার সেই ফিচারই সব ব্যবহারকারীদের জন্য রোলআউট করা চালু হয়েছে। বিটা টেস্টিংয়ের ক্ষেত্রে বিষয়টি ছিল অনেকটা এরকম যে ব্যবহারকারীরা এই মাল্টি ডিভাইস ফিচার ব্যবহার করবেন নাকি করবেন না, সেটা তারা বেছে নেওয়ার সুযোগ পেতেন।
তবে এই হোয়াটসপ ফিচারের স্টেবল ভার্সানের রোলআউট শুরুর পর থেকে এই অপশন ভিত্তিক অর্থাৎ বেছে নেওয়ার কোনো ব্যাপার নেই। আপনাআপনিই সব হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে এই ফিচার অ্যাক্টিভেট হয়ে যাবে।
ফলে একসঙ্গে চারটি বিভিন্ন ডিভাইসে ব্যবহার করা যাবে হোয়াটসঅ্যাপ। বারবার লগইন করার জন্য স্মার্টফোন কানেক্ট করারও প্রয়োজন পড়বে না। অনেকেই একই সঙ্গে আমরা স্মার্টফোন ও পিসিতে একই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করি। তবে এই ফিচারের ফলে একসঙ্গে চারটি ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যাবে।
মাল্টি ডিভাইস সাপোর্ট ব্যবহারকারীদের নিজের স্মার্টফোন ছাড়াও আরও চারটি ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের অনুমতি দেয়। আর এই চারটি ডিভাইস অন্য কোনো স্মার্টফোন হবে না। অর্থাৎ একই হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট কখনো একসঙ্গে দুটো ফোনে ব্যবহার করা যাবে না।
তবে ডেস্কটপ বা পিসি কিংবা ট্যাবে হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েবের সাহায্যে ব্যবহার করা যাবে। এর আগের ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের ফোনে সবসময় ইন্টারনেট কানেকশন থাকার প্রয়োজন ছিল। তবে এখন আর তারও প্রয়োজন নেই। ফোনে ইন্টারনেট না থাকলেও ব্যবহারকারীরা হোয়াটসঅ্যাপ ওয়েব ব্যবহার করতে পারবেন।
জেনে নিন কীভাবে মাল্টি ডিভাইস ফিচার ব্যবহার করবেন-
> এই ফিচার ব্যবহারের জন্য প্রথমে ওয়েব ব্রাউজার থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ওপেন করুন।
> সেখানে একটি কিউআর কোড দেখা যাবে স্ক্রিনের উপর।
> এরপর আপনার নিজের ফোনের হোয়াটসঅ্যাপ খুলুন।
> এরপর উপরের ডানদিকে কোণে থাকা তিনটি ডটে ক্লিক করলে লিঙ্ক এ ডিভাইস (Link a Device) অপশন পাওয়া যাবে।
> সেখানে ক্লিক করলে স্ক্রিনে থাকা কিউআর কোড স্ক্যানের সুযোগ পাবেন।
> এরপর ওয়েব ভার্সানে হোয়াটসঅ্যাপ খুলে গেলে আপনি নিশ্চিন্তে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন।