কমবেশি সবাই বাড়িতে কম্পিউটার ব্যবহার করেন। বিশেষ করে করোনাকালীন ওয়ার্ক ফর্ম হোমের জন্য কিনেছেন ডেস্কটপ বা ল্যাপটপ। আবার যারা ফ্রিল্যান্সিং করেন তাদের বাড়িতে কম্পিউটার থাকা আবশ্যক। তবে কাজের মাঝেই অনেক সময় কম্পিউটার হ্যাং হয়ে যায়। যা আপনার কাজের অনেক ক্ষতি করে।
অফিসে সমস্যা হলে সংস্থার আইটি টিমের সদস্যরা সমস্যার সমাধান করেন। তবে ঘরে যদি এই সমস্যায় পড়েন তাহলে প্রথমেই কয়েকটি কাজ করুন। প্রথমেই খুঁজে বের করুন কেন বারবার কম্পিউটার হ্যাং হচ্ছে। কম্পিউটার হ্যাং হওয়ার পেছনে রয়েছে বেশ কয়েকটি কারণ। শুধু যে স্টোরেজ ফুল হলেই কম্পিউটার বারবার হ্যাং হয় এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।
জেনে নিন কী কী কারণে আপনার কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে-
> কম্পিউটার স্টোরেজ যত বেশি হবে; ততই কম্পিউটার হ্যাং হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
> একটানা কাজ করলে কম্পিউটারের র্যামের ওপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়ে। ফলে কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে।
> কম্পিউটারের মধ্যে প্রচুর টেম্প ফাইল জমলে কম্পিউটার হ্যাং হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
> কোনো ভাইরাস অ্যাটাক হলে হ্যাং হতে পারে।
> কম্পিউটার যেখানে চালানো হচ্ছে, সেই স্থান অতিরিক্ত গরম হলে কম্পিউটার সমস্যায় ফেলতে পারে।
যেভাবে এই সমস্যার সমাধান করবেন-
স্টোরেজ বৃদ্ধি
প্রতিটি কম্পিউটারের নির্দিষ্ট পরিমাণ স্টোরেজ থাকে। কিন্তু যত দিন যায় ফাইল স্টোর করতে করতে সমস্যা তৈরি হয়। কারণ স্টোরেজের পরিমাণ কমতে থাকে। সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে স্টোরেজের পরিমাণ বাড়াতে হবে। প্রয়োজনে ক্লাউড স্টোরেজ ব্যবহার করতে পারেন। সঙ্গে র্যামেরও পরিমাণ বৃদ্ধি করতে হবে।
ভাইরাসের আক্রমণ
ভাইরাস আক্রমণ করলে কম্পিউটার হ্যাং হতে পারে। ফলে কম্পিউটারে সব সময় কোনো অ্যান্টি ভাইরাস ব্যবহার করতে পারেন। কারণ ভাইরাস আক্রমণ করলে অ্যান্টি ভাইরাসের মাধ্যমে তা মুছে ফেলা সম্ভব।
নির্দিষ্ট তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা
কম্পিউটারের প্রসেসিং ইউনিটসহ প্রতিটি যন্ত্রাংশ নির্দিষ্ট পরিমাণ তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। তার থেকে বেশি তাপমাত্রা হলে কম্পিউটার হ্যাং করে। এজন্য এমন জায়গায় কম্পিউটার ব্যবহার করুন; যেখানে কম্পিউটার প্রসেসিংয়ে কোনো সমস্যা না হয়।
টেম্প ফাইল
টেম্প ফাইলের জন্য একাধিক সমস্যা হতে পারে। এজন্য কম্পিউটারের টেম্প ফাইল ফোল্ডার নিয়মিত দেখা প্রয়োজন এবং কম্পিউটারের টেম্প ফাইল ডিলিট করাও দরকার।
ওএস আপডেট রাখুন
প্রতিটি ওএস নির্দিষ্ট সময় অন্তর আপডেট করে। উইন্ডোজ এবং আইওএসের ক্ষেত্রেই আপডেট পেতে পারেন গ্রাহকরা। ফলে কোনো আপডেট এলে ব্যবহারকারীদের আপডেট করা উচিত। কারণ কম্পিউটারের একাধিক সমস্যার কারণে স্লো হলে ওএস আপডেটের মাধ্য়মে তা সমাধান করা সম্ভব। ফলে কম্পিউটার স্লো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।