
যোগাসনের আবির্ভাব ভারতবর্ষে বহু প্রাচীনকালে। সেই পুরাণের সময় থেকে ভারতবর্ষে যোগাসনের চর্চা চলছে। আমাদের আধুনিক জীবনযাত্রায় নিজেকে সুস্থ রাখতে যোগাসনের কোনো বিকল্প নেই। তাই সারা বিশ্বে যোগাসনের চর্চা চলছে। ডাক্তারি শাস্ত্রে যোগাসনের উপকারিতাগুলিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু যোগব্যায়াম চর্চার জন্য এ সম্পর্কে সবকিছু সঠিকভাবে জানা প্রয়োজন-
যোগাসন করার কিছু বিশেষ নিয়ম রয়েছে যা আপনার যোগাসন শিক্ষক আপনাকে প্রথমেই জানিয়ে দেবেন। কিন্তু আগে থেকে জানা থাকলে আপনার আরো বেশি উপকার হবে। নিচে প্রয়োজনীয় নিয়মগুলি বিস্তারিত ভাবে দেওয়া হল:
সঠিক পোষাক
ঢিলেঢালা ও আরামদায়ক পোষাক পরে যোগাসন করতে হয়। তার সাথে অবশ্যই দরকার একটি যোগাসন করার ম্যাট যার ওপরে বসে অনুশীলন করতে হবে। যোগাসন সবসময় খালি পায়ে করা উচিত
খাওয়ার নিয়ম
খেয়াল রাখতে হবে যেন যোগাসন করার আগে পেট খালি থাকে। অর্থাৎ যোগাসন করার অন্তত ২ থেকে ৪ ঘণ্টা আগে খাবার খাওয়া যায় এবং হয়ে যাওয়া ২ ঘণ্টা পর খাওয়া যায়। না’হলে শরীরে অস্বস্তি হতে পারে।
নিঃশ্বাস প্রশ্বাস
যোগাসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ শেখার বিষয় হল নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের দিকে খেয়াল রাখা তাতে ফল পাওয়া যায়।
জোর না করা
জোর করে না করে ধীরে ধীরে করা উচিৎ নাহলে শরীরে ব্যাথা আরো বেড়ে যাবে।
ওজন কোনো বাধা নয়
অনেকের ধারণা, যোগাসন করতে গেলে খুব সাবলীল ও রোগ শরীর প্রয়োজন হয়। কিন্তু একথা একেবারে ভুল। আপনার ওজন যাই হোক না কেন, আপনি তা নিয়েই নিজের সুবিধা মত যোগাসন করতে পারেন।