
তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করা দক্ষিণবঙ্গবাসীর জন্য সুখবর! অবশেষে কিছুটা স্বস্তির বার্তা নিয়ে হাজির হয়েছে আবহাওয়া দফতর। আগামী চার দিন কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে বইতে পারে দমকা হাওয়া, যা এই আর্দ্র গরম থেকে সাময়িক মুক্তি দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। কোনো কোনো জেলায় তো ভারী বর্ষণেরও সম্ভাবনা রয়েছে, যা সেখানকার পাহাড়ি এবং সংলগ্ন সমতল অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বৃষ্টির ছোঁয়া দক্ষিণবঙ্গে:
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আজ, ৩০ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। গত কয়েক দিনের অসহ্য গরমের পর এই বৃষ্টির আগমন নিঃসন্দেহে স্বস্তিদায়ক হবে। বৃষ্টির সাথে দমকা হাওয়া তাপমাত্রা কিছুটা কমিয়ে এনে পরিবেশকে তুলনামূলকভাবে আরামদায়ক করে তুলবে।
উত্তরবঙ্গে ভারী বর্ষণের সতর্কতা:
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের আবহাওয়াও বদলাতে চলেছে। ৩০ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলাতেও বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টির পাশাপাশি সেখানেও বইতে পারে দমকা হাওয়া। বিশেষ করে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহারের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এই জেলাগুলিতে বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। মালদা ও দুই দিনাজপুরেও ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
তাপমাত্রার উঠানামা:
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রার তেমন কোনও হেরফের হবে না। তবে এর পরের ৪ দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস করে বাড়তে পারে, যা কিছুটা উদ্বেগের কারণ। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রার কোনও বড় পরিবর্তন হবে না, কিন্তু তারপরের দিনগুলিতে তাপমাত্রা ৩-৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে।
কলকাতার আবহাওয়া:
শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে। শহরে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯৮ শতাংশ এবং ন্যূনতম ৮৬ শতাংশ, যা আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি বজায় রাখবে। তবে বৃষ্টির আগমন এই আর্দ্রতা কিছুটা কমিয়ে আনবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সব মিলিয়ে, গরমের দাপট থেকে সাময়িক মুক্তি পেতে চলেছে রাজ্যবাসী। তবে স্বস্তির পাশাপাশি বজ্রবিদ্যুৎ এবং দমকা হাওয়ার কারণে সতর্ক থাকতে হবে। প্রকৃতির এই পরিবর্তন স্বাভাবিক জীবনে কতটা প্রভাব ফেলে, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করছে রাজ্যবাসী।