আদালতে প্রতিদিনিই আশ্চ্যে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা। শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বারবার। দুর্নীতির অভিযোগে বিপর্যস্ত স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে প্রাইমারি নিয়োগ। তবে এবার এলো উল্টো পুরান এক শিক্ষকের করা মামলায় শিক্ষককেই ভৎসনা করলো আদালত। বিচারপতি উল্টে ওই শিক্ষককে প্রশ্ন করেন তার চাকরির জন্য কে সুপারিশ করেছিলেন ?
জানাগেছে নদিয়ার এক অস্থায়ী শিক্ষকের করা মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি নিজেই জানতে চান ‘কার সুপারিশে চাকরি পেয়েছিলেন? স্থানীয় বিধায়ক?’ সেই সাথে তিনি আরও বলেন ‘আপনাদের মত লোকের জন্য ৯ বছর স্থায়ী পদে শিক্ষক নিয়োগ করা যায়নি। আপনি তো পদ আটকে রেখেছিলেন।’ শিক্ষককে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বলেন, ‘এটা কি মগের মুলুক? তারপরেই শিক্ষকের মামলা খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ।
উল্লেখনীয়, ১৯৯৮ সালের মে মাস থেকে ২০০৭ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত নদিয়ার গয়েশপুর উচ্চ বিদ্যালয় বাংলা বিষয়ের অস্থায়ী শিক্ষক হিসেবে চাকরি পেয়েছিলেন নাসিরউদ্দিন শেখ। ৯ বছর পর তাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই তাকে চাকরির থেকে বরখাস্ত করা হয়। আর তারপরেই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হন, তার অভিযোগ কেন তাকে মৌখিক ভাবে বরখাস্ত করা হলো চাকরির থেকে ?
রাজ্যের পক্ষ থেকে বুধবার জানানো হয় যে অভিযোগকারী শিক্ষক স্থায়ী নন। তাঁকে নিয়োগ করার জন্য কোনও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। পরিচালন কমিটি তাঁকে নিযুক্ত করেছে। আর সেখানেই বিচারপতির প্রশ্ন, পরিচালন কমিটি কার সুপারিশে নিয়োগ করেছিলেন ওই শিক্ষককেআদালতে শিক্ষকের করা মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ায় স্বস্তি পেয়েছে পরিচালন কমিটি।