
ইংল্যান্ড সফরের মূল ভারতীয় দলে জায়গা না পেলেও, ভারতীয় ‘এ’ দলের হয়ে প্রস্তুতি ম্যাচে নিজের জাত চেনালেন সরফরাজ খান। মাত্র ৭৬ বলে শতরান করে তিনি নির্বাচকদের কড়া বার্তা দিলেন। অন্যদিকে, এই ম্যাচেও উইকেট শূন্য থাকলেন ভারতের তারকা পেসার জসপ্রীত বুমরা, যা টিম ম্যানেজমেন্টের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।
গত বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনে কেএল রাহুল ও শুভমন গিল হাফ সেঞ্চুরি করে টিম ম্যানেজমেন্টকে স্বস্তি দিয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় দিনে সব আলো কেড়ে নিলেন সরফরাজ। তাঁর ৭৬ বলে সেঞ্চুরির ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৫টি চার এবং ২টি বিশাল ছক্কায়। ইংল্যান্ড সফরের দলে সরফরাজের না থাকা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন, আর এই সেঞ্চুরি সেই প্রশ্নকে আরও জোরালো করে তুলল।
এর আগেও ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে সরফরাজ ৯২ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেছিলেন। ভারতের হয়ে এখন পর্যন্ত ৬টি টেস্ট ম্যাচে তিনি ৩৭.১০ গড়ে ৩৭১ রান করেছেন, যার মধ্যে গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বেঙ্গালুরু টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে তার ১৫০ রানের একটি স্মরণীয় ইনিংসও রয়েছে।
যদিও সরফরাজের ব্যাট ঝলসে উঠেছে, অন্যদিকে জসপ্রীত বুমরার উইকেট খরা কিছুটা চিন্তার কারণ হয়েছে। ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে এর আগের প্রস্তুতি ম্যাচেও ভারতীয় বোলারদের উইকেট পেতে সমস্যা হয়েছিল, যেখানে প্রতিপক্ষ ৩০০ রান পেরিয়ে গিয়েছিল। বুমরার মতো একজন প্রধান বোলারের উইকেট না পাওয়া আসন্ন সিরিজের আগে টিম ম্যানেজমেন্টের উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
দ্বিতীয় দিন শেষে ভারতীয় ‘এ’ দলের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৯৯ রান, যা মূল ভারতীয় দলের চেয়ে ১৬০ রানে পিছিয়ে। সাই সুদর্শন ৬০ বলে ৩৮ রান করেন, এবং ইশান কিষাণ ৫৫ বলে ৪৫ রান যোগ করেন। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়া ওয়াশিংটন সুন্দর ৩৫ রান করে নিজেকে সামলে নেন। তবে ভারত ‘এ’ দলের অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড় শূন্য রানে আউট হন।
এই আন্তঃস্কোয়াড ম্যাচটি বন্ধ দরজার পিছনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবং ইংল্যান্ড সিরিজের আগে ভারতের এটি শেষ প্রস্তুতি ম্যাচ। ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে দুটি অনানুষ্ঠানিক টেস্ট ম্যাচ ড্র হওয়ার পর এই খেলাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই ম্যাচে করুণ নায়ার, যশস্বী জয়সওয়াল, কেএল রাহুল এবং শার্দুল ঠাকুরের মতো বেশ কয়েকজন প্রান্তিক এবং প্রথম দলের খেলোয়াড় অংশ নিয়েছেন।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজটি ভারতীয় টেস্ট ক্রিকেটের জন্য এক নতুন যুগের সূচনা করবে। দীর্ঘতম ফরম্যাট থেকে রোহিত শর্মা এবং বিরাট কোহলির মতো কিংবদন্তি খেলোয়াড়দের অবসরের পর শুভমন গিল দলের নেতৃত্ব দেবেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অবসরের পর দলের বোলিং আক্রমণেও পরিবর্তন এসেছে। এমন এক পরিস্থিতিতে সরফরাজের ফর্ম নির্বাচকদের জন্য একটি ইতিবাচক দিক, তবে বুমরার বোলিং ফর্ম নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টকে ভাবতে হবে।