ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) কোয়ালিফায়ার-১ এ রাজস্থান রয়্যালসকে সাত উইকেটে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছে হার্ডিক পান্ডিয়া-রশিদ খানদের গুজরাট টাইটানস। শেষ ওভারে জয়ের জন্য গুজরাটের প্রয়োজন ছিল ১৬ রান। প্রসিধ কৃষ্ণার করা শেষ ওভারের প্রথম তিন বলেই ছক্কা হাঁকান ডেভিড মিলার। ফলে তিন বল হাতে রেখে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় গুজরাট টাইটানস।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনে টসে জিতে প্রথমে রাজস্থান রয়্যালসকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান গুজরাট টাইটানসের অধিনায়ক হার্ডিক পান্ডিয়া। জস বাটলারের ৫৬ বলে ৮৯ রানের ঝড়ো ইনিংসের ওপর ভর করে ১৮৯ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় রাজস্থান। জবাবে ১৯.৩ ওভারে মাত্র তিন উইকেট হারিয়ে লক্ষে পৌঁছে যায় গুজরাট। দলের পক্ষে ডেভিড মিলার সর্বোচ্চ ৩৮ বলে অপরাজিত ৬৮ রান করেন। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫টি ছক্কা ও ৩টি চারে। এছাড়া অধিনায়ক হার্ডিক পান্ডিয়া অপরাজিত থাকেন ২৭ বলে ৪০ রান করে।
টার্গেট তাড়া করতে নেমে কোনো রান তোলার আগেই ওপেনার ঋদ্ধিমানসাহাকে হারায় গুজরাট। তবে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে শুভমান গিল ও ম্যাথু ওয়েড ৭২ রান তুলে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন। গিল ২১ বলে ৩৫ রান করে রান আউট হলে দ্রুতই ফিরে যান ওয়েডও (৩৫)। ফলে ৮৫ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় গুজরাট। সেখান থেকে অধিনায়ক হার্ডিক পান্ডিয়া এবং ডেভিড মিলার গুজরাটতে ম্যাচে রাখেন। এই দুইজনের অবিচ্ছিন্ন ১০৬ রানের জুটির সুবাদে প্রথম দল হিসেবে আইপিএল ২০২২ এর ফাইনালে উঠেছে গুজরাট টাইটানস।
রাজস্থানের হয়ে বোল্ট ও ম্যাকয় একটি করে উইকেট নেন।
ইডেন গার্ডেনে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান সংগ্রহ করে রাজস্থান।
দলের পক্ষে ৫৬ বলে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করে রানআউট হন জস বাটলার। ১২টি বাউন্ডারির পাশাপাশি ২টি ছক্কার মার মারেন তিনি। ২৬ বলে ৪৭ রান করেন অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসন। ৫টি বাউন্ডারির সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার মারেন তিনি। দেবদূত পাডিক্কাল করেন ২০ বলে ২৮ রান।
গুজরাটের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ শামি, যশ দয়াল, রবিশ্রীনিবাসন সাই কিশোর এবং হার্দিক পান্ডিয়া। রশিদ খান কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দেন কেবল ১৫ রান।