SPORTS: লখনৌকে উড়িয়ে সবার আগে প্লে-অফে পৌঁছে গেলো গুজরাট

লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না। প্রথম দল হিসেবে প্লে-অফে যেতে লখনৌ সুপার জায়ান্টসকে করতে হতো ১৪৫ রান। কিন্তু গুজরাট টাইটান্সের বোলিং তোপে ১৩.৫ ওভারে মাত্র ৮২ রানেই গুটিয়ে গেলো লখনৌ। ফলে ৬২ রানের সহজ জয়ে প্লে-অফের টিকিট পেয়েছে গুজরাট।

পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রানে থামে গুজরাট। যা অনেক বেশি প্রমাণিত হয় লখনৌয়ের জন্য। রশিদ খান ও সাঁই কিশোরের ঘূর্ণিতে নিজেদের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়েছে লোকেশ রাহুলের দল।

লখনৌয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন দীপক হুদা। এছাড়া আভেশ খান (১২) ও কুইন্টন ডি কক (১১) ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কে যেতে পারেননি। পুরো ইনিংসে দেখা গেছে মাত্র সাতটি চার ও তিনটি ছয়ের মার।

বল হাতে জাদু দেখিয়েছেন রশিদ। মাত্র ২৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। এছাড়া ইয়াশ দয়াল ও সাঁই কিশোরের শিকার ২ উইকেট। এ জয়ের সুবাদে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফে উঠে গেছে গুজরাট। দুইয়ে থাকা লখনৌয়ের ঝুলিতে আছে ১৬ পয়েন্ট।

এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং নিয়েছিলেন গুজরাট অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। তার দল প্রথম ১০ ওভারে করতে পেরেছিল মাত্র ৫৯ রান। তবে খানিক ঘুরে দাঁড়িয়ে শেষ ১০ ওভারে যোগ করে আরও ৮৫ রান।

পাওয়ার প্লে’র মধ্যে ইনফর্ম ব্যাটার ঋদ্ধিমান সাহা (১১ বলে ৫) ও ম্যাথু ওয়েডের (৭ বলে ১০) উইকেট হারায় গুজরাট। অধিনায়ক হার্দিকও বেশি কিছু করতে পারেননি। তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ফেরার আগে ১৩ বল থেকে মাত্র ১১ রান করেন তিনি।

 

তবে একপ্রান্ত ধরে রাখা ওপেনার শুভমান গিল এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। চতুর্থ উইকেটে ডেভিড মিলারের সঙ্গে গড়েন ৫২ রানের জুটি। সংগ্রামী ব্যাটিংয়ে ২৪ বলে মাত্র ২৬ রান করে আউট হন মিলার। পরে অবিচ্ছিন্ন জুটিতে শেষ ৪ ওভারে ৪১ রান তোলে রাহুল তেয়াতিয়া ও গিল।

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খেলে ৪৯ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন গিল। যেখানে ছিল সাতটি চারের মার। একটি চারের সঙ্গে পুরো ইনিংসের একমাত্র ছক্কা হাঁকিয়ে ১৬ বলে ২২ রান করেন তেয়াতিয়া। পুরো ইনিংসে দেখা মাত্র ১৫ চার ও একটি ছক্কা।

লখনৌর বোলারদের মধ্যে আভেশ খান নিয়েছেন দুই উইকেট। এছাড়া জেসন হোল্ডার ও মহসিন খানের শিকার একটি করে উইকেট।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy