মাঠে নামার আগেই ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছিলেন, জুভেন্টাসে এটি হতে যাচ্ছে নিজের শেষ ম্যাচ। বলেছিলেন, বিদায়ী ম্যাচ হলেও হাসিমুখেই মাঠে ঢুকবেন। কিন্তু বিদায় তো সবসময় কষ্টেরই হয়। পাওলো দিবালার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম হয়নি। জুভেন্টাসের জার্সি নিজের শেষ ম্যাচ খেলতে নেমে কান্নায় ভেঙে পড়েন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
গতকাল সোমবার রাতে অ্যালিয়েঞ্জ স্টেডিয়ামে লাজিওর বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করেছে জুভেন্টাস। ম্যাচটির ৭৮ মিনিট পর্যন্ত খেলেছেন দিবালা। এই সময়ে আবেগটা যেন বেশিই স্পর্শ করেছিল তাঁকে।
অবশ্য ম্যাচে নামার আগেই দিয়েছিলেন আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। বিদায়ের বার্তা দিয়ে দিবালা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘এত বছর, এত আবেগের সম্পর্কের পর আমি ভেবেছিলাম আমরা হয়তো আরও অনেক বছর একসঙ্গে থাকব। কিন্তু, ভাগ্য আজ আমাদের দুদিকে নিয়ে যাচ্ছে। এত বছরের অভিজ্ঞতা, গোল, ম্যাচ, প্রত্যেক ম্যাচ—আমি কখনও ভুলব না।’
জুভেন্টাসের সঙ্গে সাত বছরের স্মৃতি নিয়ে আর্জেন্টাইন তারকা লিখেছেন, ‘আমি আপনাদের সঙ্গেই বড় হয়েছি, শিখেছি, স্বপ্ন দেখেছি, বেঁচে থেকেছি। সাতটি বছর, ১২টি শিরোপা আর ১১৫ গোলের এ যাত্রা স্বপ্নের মতো ছিল, যা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। কোনোদিনই নয়।’
দিবালা আরও লিখেছেন, ‘কঠিন সময়ে আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত যাঁরা আমার পাশে ছিলেন, সাহায্য করেছেন, ক্লাবের ভেতরের মানুষ থেকে আমাদের ভক্ত সমর্থক, কোচ, ম্যানেজার সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। এ বিখ্যাত জার্সির পরার সঙ্গে এ ক্লাবকে অধিনায়কত্ব দেওয়ার ঘটনাটি আমার জীবনের অন্যতম গর্বের ঘটনা হয়ে থাকবে, যা আমি আমার সন্তান ও নাতিপুতিদের দেখাতে পারব হয়তো কোনো এক দিন।’
দিবালার সঙ্গে এই ম্যাচটি শেষ ম্যাচ ছিল জর্জো কিয়েল্লিনিরও। ইতালিয়ান তারকাকেও সম্মাননা জানানো হয়।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, ২০১৫ সালে পালের্মো থেকে ২৩.৮ মিলিয়ন ইউরোতে জুভেন্টাসে গিয়েছিলেন দিবালা। জুভেন্টাসের হয়ে এ সাত বছরে সব মিলিয়ে ২৯১ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এই সময়ে দলটির হয়ে ১১৫ গোল করেছেন তিনি। জিতেছেন ১২টি ট্রফি।
আর ২০০৪ সালে জুভেন্টাসে যোগ দেওয়া কিয়েল্লিনি জুভেন্টাসে কাটিয়ে দিলেন এত বছর। অবশেষে ক্লাবটির হয়ে ৫৫৯ টি ম্যাচ খেলে বিদায় বলে দিলেন। সম্প্রতি ইতালির জাতীয় দল থেকেও অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এই তারকা ফুটবলার।