ফুড ডেলিভারি সংস্থা সুইগির শেয়ারে বৃহস্পতিবার তীব্র ধস নামল। বাজার খোলার পরই সুইগির স্টকের দাম ৭.৪ শতাংশ কমে ৩৮৫ টাকা হয়ে যায়, যা কোম্পানির শেয়ার লিস্টিং হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে কম দাম। তবে বেলা ১০টা নাগাদ শেয়ারের দাম কিছুটা বেড়ে ৪০৭ টাকায় পৌঁছায়, তবে আগের দিনের ক্লোজিংয়ের তুলনায় এটি এখনও অনেক কম। এই পতন নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এখন সুইগির শেয়ার কেনা উচিত কি না, আর যারা স্টক ধরে রেখেছেন তারা কি বিক্রি করবেন নাকি ধরে রাখবেন।
চলতি অর্থবর্ষের অক্টোবর-ডিসেম্বর কোয়ার্টারে সুইগির ব্যবসা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছে। কনসলিডেটেড লস ৭৯৯ কোটি টাকা, যা আগের বছরের তুলনায় আরও বেশি। এই ত্রৈমাসিকে যদিও সুইগির রেভিনিউ ৩১ শতাংশ বেড়েছে, তবুও এর প্রফিটের অভাব এবং ক্ষতির পরিমাণ শেয়ারের পতনের কারণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এক মাসে সুইগির শেয়ার দরে ২৪ শতাংশেরও বেশি কমেছে, যা বাজার বিশেষজ্ঞদের মতে একটি বড় ধাক্কা।
এখন প্রশ্ন উঠছে, সুইগির শেয়ার কেনা উচিত না বিক্রি করা উচিত। একাধিক ব্রোকারেজ সংস্থা এই বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছে। ফিনান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডার ইউবিএস সুইগির শেয়ারের জন্য ‘Buy’ রেটিং দিয়েছে এবং টার্গেট প্রাইস হিসেবে ৫১৫ টাকা ঠিক করেছে। অন্যদিকে, ব্রোকারেজ সংস্থা ম্যাকুয়ারি সুইগির শেয়ারকে ‘underperform’ রেটিং দিয়েছে এবং এর টার্গেট প্রাইস ৩২৫ টাকা রাখা হয়েছে। তারা মনে করছে যে সুইগির শেয়ার এখন বড় চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে এবং এর দাম আরও কমতে পারে।
এদিকে, অন্য ফিনান্সিয়াল ফার্ম নভুমা মনে করছে যে বর্তমানে চাপ থাকলেও সময়ের সঙ্গে পরিস্থিতি বদলাতে পারে এবং সুইগির শেয়ার আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে।
তবে শেয়ার বাজার বা যে কোনো বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ, তাই কোন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ভালোভাবে পর্যালোচনা করা এবং বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।