প্রতারণার অভিযোগে বিপুল অংকের জরিমানার মুখোমুখি হয়েছে স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। মূলত নিজেদের স্মার্টফোন নিয়ে মিথ্যা জল-প্রতিরোধক দাবির কারণে অস্ট্রেলিয়ায় ৯৭ লাখ মার্কিন ডলারের এই জরিমানার মুখোমুখি হয়েছে সংস্থাটি।
যার পরিমাণ প্রায় ৭৬ কোটি টাকা।
প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থাটি জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার প্রতিযোগিতা নিয়ন্ত্রক সংস্থা বৃহস্পতিবার বলেছে, স্যামসাং ইকেট্রনিক্সের স্থানীয় একটি ইউনিটকে (005930.KS) এক কোটি ৪০ লাখ অস্ট্রেলীয় ডলার (৯৬ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার) জরিমানা করেছে অস্ট্রেলিয়ার একটি আদালত। মূলত স্যামসাংয়ের কিছু স্মার্টফোনে জল-প্রতিরোধক বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে প্রতারণাপূর্ণ দাবির জন্য জরিমানার নির্দেশ দেয় ওই আদালত।
অস্ট্রেলিয়ান কম্পিটিশন অ্যান্ড কনজিউমার কমিশন (এসিসিসি) জানিয়েছে, স্যামসাং অস্ট্রেলিয়া তার কিছু ‘গ্যালাক্সি’ ফোনের ক্রেতাদের জল-প্রতিরোধের (ওয়াটার রেসিস্ট্যান্স) মাত্রা সম্পর্কে বিভ্রান্ত করার কথা স্বীকার করেছে। এর আগে ২০১৯ সালের জুলাইয়ে কোম্পানিটির বিরুদ্ধে মামলা করেছিল অস্ট্রেলিয়ার এই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
অস্ট্রেলীয় এই নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, ২০১৬ সালের মার্চ মাস থেকে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসের মধ্যে নিজেদের স্মার্টফোনের জল প্রতিরোধক ক্ষমতা সম্পর্কে দোকানে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন চালায় কোম্পানিটি। প্রচারিত সেসব বিজ্ঞাপনে সেসময় স্যামসাং দাবি করেছিল, তাদের স্মার্টফোনগুলো সুইমিং পুল অথবা সমুদ্রের জলের মধ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে।
অবশ্য এরপর থেকেই ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে শত শত অভিযোগ পায় এসিসিসি। সেসব অভিযোগে জানানো হয়, স্মার্টফোনগুলো সঠিকভাবে কাজ করে না বা এমনকি জলের সংস্পর্শে আসার পরে এসব স্মার্টফোন সম্পূর্ণরূপে কাজ করা বন্ধ করে দেয়।
অস্ট্রেলিয়ান কম্পিটিশন অ্যান্ড কনজিউমার কমিশনের প্রধান জিনা ক্যাস-গটলিয়েব বলেছেন, সুইমিং পুল অথবা সমুদ্রের জলের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহারের এই দাবিগুলো মূলত গ্যালাক্সি ফোনগুলোর বিক্রির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হিসেবে কাজ করেছে। গ্যালাক্সি ফোন কেনা অনেক গ্রাহক নতুন একটি ফোন কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপনের মুখোমুখি হয়ে থাকতে পারেন।
অবশ্য স্যামসাং তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।