রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি তেলের টার্মিনালে হামলার দাবি করেছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। এখান থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ বাহিনীর জন্য জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হতো।
ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা রুশ-অধিকৃত ক্রিমিয়ায় একটি তেলের টার্মিনালে আঘাত করেছে। গত কয়েক মাস ধরে ইউক্রেন রাশিয়ার শক্তি ক্ষেত্রকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করছে। কারণ, এই তেল বিক্রি করেই রাশিয়া যুদ্ধের খরচ তুলছে বলে তাদের দাবি।
ইউক্রেনের সেনা সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়েছে, অধিকৃত ক্রিমিয়ার ফিওদেশিয়ায় একটি তেলের টার্মিনালে তারা সফলভাবে আঘাত হানতে পেরেছে।
২০১৪ সাল থেকে ক্রিমিয়া রাশিয়ার অধিকারে আছে। সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কৃষ্ণসাগরের একটি বন্দর-শহরে তেলের ডিপোয় আগুন লেগেছে। কোনো প্রাণহানির খবর নেই।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইউক্রেনের ১২টি ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। ইউক্রেন মোট ২১টি ড্রোন দিয়ে আক্রমণ করেছিল।
ইউক্রেনের সেনা বাহিনী তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, ফিওদেশিয়া টার্মিনালটি ক্রিমিয়ায় সবথেকে বড়, এখান থেকে তেল ও তেলজাত জিনিস রাশিয়ার সেনাদের কাছে সরবরাহ করা হয়।
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধের তৃতীয় বর্ষ চলছে। রাশিয়ার বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা জেরাদার করেছে কিয়েভ। ইউক্রেন এখন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন ঘটিয়েছে। রুশ জ্বালানি তেলের ডিপো ও পরিশোধন কেন্দ্রগুলো এবং অস্ত্রাগারে হামলা চালানো এর লক্ষ্য।