ইউক্রেইনের যুদ্ধ কতদিন স্থায়ী হবে তা অনুমান করা কঠিন বলে বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া সর্বশেষ রাত্রিকালীন ভিডিও বক্তৃতায় তিনি এমনটি বলেছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।
“অবশ্যই, আমিও বিভিন্ন ভবিষ্যদ্বাণী শুনেছি। কিছু গণমাধ্যমের চেয়ে রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সক্ষমতা ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমার কাছে আরও অনেক বেশি তথ্য আছে,” বলেছেন তিনি।
“এর পাশাপাশি রাশিয়ার অর্থনীতির শক্তি এবং রাশিয়ার সমাজের মানসিক অবস্থা নিয়েও আমার কাছে তথ্য আছে।”
তিনি বলেছেন, যুদ্ধ কতোদিন স্থায়ী হবে তা দুটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে।
“যুদ্ধক্ষেত্রে আমাদের সামরিক বাহিনীর সাফল্য সত্যিই উল্লেখযোগ্য। ঐতিহাসিকভাবে উল্লেখযোগ্য। কিন্তু এখনও তা দখলদারদের থেকে আমাদের দেশকে মুক্ত করার পক্ষে যথেষ্ট না। তাদের আরও হারাতে হবে,” বলেছেন তিনি।
“রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা খুব উল্লেখযোগ্য। অর্থনৈতিকভাবে যন্ত্রণাদায়ক। কিন্তু এখনও তা রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সরবরাহ বন্ধ করার মতো যথেষ্ট নয়। আমরা আরও শক্তিশালী, আরও ধ্বংসাত্মক (নিষেধাজ্ঞা) চাই।”
জেলেনস্কি আরও বলেন, “কেউ যদি বলে, বছর বা কয়েক বছর, আমার উত্তর হচ্ছে, আপনি যুদ্ধটাকে আরও সংক্ষিপ্ত করতে পারেন। আমরা যেসব অস্ত্রের অনুরোধ জানিয়েছি, তা যত তাড়াতাড়ি ও যত বেশি পাব, আমাদের অবস্থান ততই শক্তিশালী হবে এবং শান্তি তত তাড়াতাড়ি আসবে।”
দনবাস অঞ্চলের সামরিক পরিস্থিতি ‘এখনও খুব কঠিন’ বলে জানিয়েছেন তিনি।
মিত্রদের ভারী অস্ত্র পাঠানোর এবং রাশিয়ার তেলের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্র যেন রাশিয়াকে উত্তর কোরিয়া, কিউবা, ইরান ও সিরিয়ার মতো ‘সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র’ হিসেবে চিহ্নিত করে তার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন তিনি; দুই প্রেসিডেন্টের আলাপের বিষয়ে জ্ঞাত লোকজনকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ওপর চাপ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র ‘সব বিকল্প বিবেচনা করে দেখছে’ বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র।