
ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের শততম দিন আজ। এই দিনটিতে দেশটির পূর্বাঞ্চলজুড়ে যুদ্ধের ভয়াবহতা বেড়ে যেতে দেখা গেছে। ইউক্রেনের দনবাসে রুশ সেনারা তাদের অবস্থান জোরদার করছে।
কিয়েভের পক্ষ থেকে জানা গেছে, মস্কো বর্তমানে ইউক্রেন ভূখণ্ডের এক-পঞ্চমাংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। এর মধ্যে ২০১৪ সালে দখল করা ক্রিমিয়া ও দনবাসের বিভিন্ন অংশ অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
এদিকে, রাজধানী কিয়েভ নিরস্ত্র করার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সৈন্যরা ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল দখলের ওপর বেশি জোর দিয়েছে। এতে যুদ্ধের তীব্রতা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে আলোচনার পর ন্যাটো প্রধান জেন্স স্টলটেনবার্গ বৃহস্পতিবার সতর্ক করে বলেন, ‘যুদ্ধ মোকাবিলায় ইউক্রেনের মিত্রদের কঠোর অবস্থানে যাওয়া প্রয়োজন।’
স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘আমাদের এখন এ যুদ্ধের জন্য দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি নিতে হবে।’ এদিকে ন্যাটো রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে যেতে চায় না বলেও পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ‘গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর এতে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয় এবং লাখ লাখ লোক বাধ্য হয়ে তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে চলে যায়। এ যুদ্ধে প্রতিদিন ইউক্রেনের প্রায় ১০০ সৈন্য প্রাণ হারাচ্ছেন।’