ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলছে পাঁচ মাস ধরে। অব্যাহত রয়েছে রাশিয়ার হামলা। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করে বলেছেন, রাশিয়ার আক্রমণের কোনো শেষ নেই। ২৪ ঘণ্টায় তারা ৩৪ বার বিমান হামলা করেছে ইউক্রেনে। দনেৎস্কের শহর চ্যাসিভ ইয়ারে বিমান হামলায় অন্তত ১৫ জন মারা গেছেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের প্রধান বলেছেন, ‘চ্যাসিভ ইয়ারে রাশিয়ার হামলা সন্ত্রাসবাদী কাজ’। রাশিয়াকে সন্ত্রাসবাদী দেশের তালিকায় রাখার অনুরোধ করেছেন তিনি।
কৃষ্ণসাগরের বন্দর শহর মিকোলাইভে সোমবার (১১ জুলাই) ভোরে অন্তত নয়টি বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক উইলসন ওই শহরে আছেন। তিনি জানিয়েছেন, শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার শব্দ পেয়েছেন তিনি।
ইউক্রেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে থাকা দক্ষিণের শহর খেরসন থেকে যেন বেসামরিক মানুষরা চলে যান। কারণ, ইউক্রেনের সেনা সেই শহরে পাাল্টা আক্রমণ করার পরিকল্পনা করেছে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো তাদের যে হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (হিমরাস) দিচ্ছে, তাতে যুদ্ধক্ষেত্রে বিপুল পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। বাইডেন প্রশাসন ইউক্রেনকে আরো চারটি হিমরাস দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। ফলে ইউক্রেনের হাতে ১২টি হিমরাস থাকবে। এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র তাদের প্রচুর গোলাবারুদ সরবরাহ করছে।
এই পশ্চিমা অস্ত্রের সাহায্যেই দক্ষিণের শহরগুলো রাশিয়ার হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ইউক্রেন। যুক্তরাজ্যের একটি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওলেক্সি রেজনিকভ বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সমুদ্রতীরবর্তী শহরগুলোকে নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশের অর্থনীতির জন্য এই শহরগুলো নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হয়। এরপর থেকে টানা কয়েক মাসের যুদ্ধে বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন। দেশ ছেড়ে অন্যত্র পালিয়েছেন বেশ কয়েক লাখ। এখনও যুদ্ধ থামার লক্ষণ নেই।
অন্যদিকে, যুদ্ধ বন্ধ না হওয়া ও রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার কারণে সব পণ্যের দাম বেড়েছে বিশ্বব্যাপী। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ আয়ের মানুষ।