RUSHvsUKR: ইউক্রেনে ‘বিশেষ অভিযানের’ পর ৯ মে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ করতে পারেন পুতিন?

২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ অভিযানের’ ঘোষণা দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে তিনি যেকোনো মুহূর্তে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন বলে জানিয়েছেন পশ্চিমা কয়েকজন কর্মকর্তা। তাদের আশঙ্কা ইউক্রেনে আনুষ্ঠানিক ভাবে যুদ্ধ ঘোষণার জন্য আগামী ৯ মে দিনটিকে বেছে নিতে পারেন পুতিন।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইতোমধ্যেই ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ৭০ দিন পার হয়ে গেছে। পশ্চিমা কর্মকর্তাদের ধারণা, ৯ মে পুতিন যুদ্ধ ঘোষণা করলে, পুরো শক্তি কাজে লাগাতে আর কোনো বাধা থাকবে না তার।

প্রশ্ন হলো কেন যুদ্ধ ঘোষণার জন্য ৯ মে দিনটিকেই কেন বেছে নেবেন পুতিন?

সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ৯ মে রাশিয়ার জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিনটিকে রাশিয়া ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে। আর এই দিনেই পুরো বিশ্বের সামনে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে তারা। প্রসঙ্গত, ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ৯ মে হিটলারের নাৎসি সেনাদের পরাজিত করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন বাহিনী। আর সেই থেকেই এই দিনটিকে ‘বিজয় দিবস’ হিসেবে পালন করে মস্কো।

কেন ওই দিন যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন পুতিন? তার আরও একটি কারণও আছে। রাশিয়া-ইউরেশিয়া প্রোগ্রামের অধিকর্তা জেমস নিক্সি জানিয়েছেন, দেশের মানুষের কাছে পুতিনের যে ভাবমূর্তি রয়েছে সেটা যেন কোনো ভাবে ম্লান না হয় এটি তার একটা প্রচেষ্টা মাত্র। আর তাই যুদ্ধ ঘোষণার জন্য ৯ মে দিনটিকে পুতিন বেছে নিতে চাইবেন।

তবে হঠাৎ করে যুদ্ধ ঘোষণা করলেও যে একটা সমস্যা তৈরি হতে পারে সেটা ভাল ভাবেই জানেন রুশ প্রেসিডেন্ট। দেশের একাংশ চাইছেন ইউক্রনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হোক। কিন্তু একটা বড় অংশ রুশ প্রেসিডেন্টের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ। ফলে দেশের অভ্যন্তরে যেন নতুন সমস্যা তৈরি না হয় তাই তিনি খুব সাবধানী পদক্ষেপ করতে চাইছেন বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy