Ram Mandir: রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে উপবিষ্ট রামলালার বিগ্রহ, দেখেনিন প্রথম ছবি

অযোধ্যা রাম মন্দিরে রামলালার বিগ্রহের অভিষেক অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। ১৮ জানুয়ারি মন্দিরের গর্ভগৃহে আসনে উপবিষ্ট হয়েছেন রামলালা। মূর্তিটি হলুদ ও সাদা কাপড়ে আবৃত অবস্থায় রয়েছে। আবরণ উন্মোচন হবে ২২ জানুয়ারি।

অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিত থাকবেন। তিনিই রামলালার মূর্তি নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করবেন। প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের আগে কঠোর ব্রত পালন করছেন। একবেলা খাবার খাবেন, তাও ফলমূল এবং শুচ্ছেন মাটিতে।

নতুন রামমন্দিরের গর্ভগৃহেই অস্থায়ী মন্দিরে দীর্ঘ দিন ধরে পূজিত রামলালার মূর্তির স্থান হবে। ১৯৪৮ সালে বিতর্কিত কাঠামোয় রামলালার মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। আশির দশকে ফৈজাবাদ জেলা আদালতের নির্দেশে শুরু হয় পূজার্চনা।

রাম মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ড চেয়েছিল তিনটি মূর্তি তৈরি হোক রামলালার। তার মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হবে একটি মূর্তিকে। তিন ভাস্করের ডাক পড়েছিল। ডাক পড়ে বেঙ্গালুরুর ভাস্কর গণেশ ভাট এবং তাঁর ছাত্র বিপিন ভাদোরিয়া, মাইসুরের অরুণ যোগীরাজ এবং জয়পুরের সত্যনারায়ণ পান্ডের। শেষ পর্যন্ত রামমন্দিরে প্রাণপ্রতিষ্ঠার জন্য যোগীরাজের তৈরি বিগ্রহকেই বেছে নেয় বিশেষজ্ঞদের প্যানেল।

রামলালার বিগ্রহ তৈরি হয়েছে কর্নাটকের কৃষ্ণশিলা খোদাই করে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আকর্ষণীয় এবং টেকসই ভাস্কর্য তৈরি করতে কৃষ্ণশিলাই ব্যবহার করা হয়। মেঙ্গালুরুর নিকটবর্তী কারকালা শহরে পাওয়া যায় উৎকৃষ্ট মানের কৃষ্ণশিলা।


অরুণ যোগীরাজ মাইসোরের বিখ্যাত ভাস্কর। পরিবারের পাঁচ প্রজন্মই যুক্ত শিল্পের সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ অনেকেই প্রশংসা করেছেন যোগীরাজের। শুধু ভাস্কর্যই নয়, পড়াশোনাতেও তিনি তুখোড়। ঝুলিতে রয়েছে এমবিএ ডিগ্রি। কিছু দিন একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরিও করেন। তবে কর্পোরেট জগৎ তাঁর মনে ধরেনি। ২০০৮ সাল থেকে যোগ দেন পারিবারিক পেশায়।

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy