সকাল দশটা নাগাদ অভিজাত আবাসনে বিধ্বংসী আগুন, ফ্ল্যাটে আটকে পড়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। দমকলের ৮টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।
নয়াদিল্লি, ১০ জুন ২০২৫: মঙ্গলবার সকালে দিল্লির দ্বারকায় এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মর্মান্তিক পরিণতি ঘটল এক পরিবারের। দ্বারকার সেক্টর ১৩-এর একটি অভিজাত আবাসনে আগুন ছড়িয়ে পড়লে প্রাণ বাঁচাতে সাত তলা থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে ঝাঁপ দেন এক ব্যক্তি। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে বাবা ও দুই সন্তানকেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
দাউ দাউ করে জ্বলল আবাসনের একাধিক তলা
মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ বহুতল এই আবাসনের একেবারে উপরের তলাতেই প্রথম আগুন নজরে আসে। খবর পেয়ে দমকলের আটটি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কিন্তু দমকল পৌঁছনোর আগেই আগুনের লেলিহান শিখা অন্য তলাতেও ছড়িয়ে পড়ে। বহু পরিবারের বাস থাকায় দ্রুত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা আবাসনে। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, দূর থেকেও আগুনের শিখা এবং ধোঁয়ার কুন্ডলী দেখা যাচ্ছিল, যা গোটা এলাকাকে ঢেকে ফেলেছিল।
দমকল কর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর পাশাপাশি ভিতরে আটকে থাকা বাসিন্দাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই আবাসনের বাকি অংশ খালি করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যে তলায় আগুন লেগেছিল, সেখানে তিন থেকে চারজন আটকে পড়েছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন ৩৫ বছর বয়সী যশ যাদব এবং তাঁর ১০ বছরের ছেলে ও মেয়ে। আগুনের তেজ অসহনীয় হয়ে উঠলে, আর কোনো উপায় না দেখে যশ যাদব তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে জানলা দিয়ে নিচে ঝাঁপ দেন। তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও, তিন জনকেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই মর্মান্তিক মৃত্যুতে হতভম্ব সকলে।
যশ যাদব দীর্ঘদিন ধরেই ওই আবাসনে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন এবং তাঁর ফেক্স বোর্ডের ব্যবসা ছিল। তবে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন যশ যাদবের স্ত্রী এবং তাঁদের বড় ছেলে।
এই ঘটনাটি দিল্লির আবাসনগুলিতে অগ্নি নিরাপত্তা এবং জরুরি নির্গমনের ব্যবস্থার বিষয়ে আবারও গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
