নাবালিকাকে জোর করে ডিম্বাণু দান করানোর অভিযোগ উঠল মা ও সৎবাবার বিরুদ্ধে। ১৬ বছরের মেয়েটি এই কাজে রাজি না হওয়ায় তার ওপর শারীরিক অত্যাচার করা হয় বলে অভিযোগ। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের তামিলনাড়ুতে।
মা ও সৎবাবার কবল থেকে পালিয়ে মেয়েটি এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। তাদের সহযোগিতায় মা-বাবার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে সে। এর পরেই নাবালিকার মা, সৎবাবা ও আর একজন নারীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
তাদের বিরুদ্ধে নাবালিকাকে অত্যাচার ও অবৈধভাবে ডিম্বাণু বিক্রি করার মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনাটি সামনে আসার পর তদন্তে নেমেছে তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য দফতর।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই মামলায় ইন্দ্রাণী আলিয়াস সুমাইয়া (নাবালিকার মা), সৈয়দ আলি (সৎবাবা) আর মালতি নামক নারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সুমাইয়া দীর্ঘ দিন ধরেই বেসরকারি ‘ফার্টিলিটি ক্লিনিক’-এ ডিম্বাণু বিক্রি করার সঙ্গে জড়িত। নিজের মেয়েকে আট বার ডিম্বাণু দান করতে বাধ্য করেছেন সুমাইয়া। প্রায় পাঁচ বছর ধরে চলছে ঘটনাটি। প্রতি ডিম্বাণু পিছু ২০ হাজার টাকা নিতেন সুমাইয়া। তার সঙ্গী মালতি ৫ হাজার টাকা কমিশন নিতেন।
ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্য দফতর। এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে এবং বলপূর্বক ডিম্বাণু দান করার ঘটনায় বেসরকারি ফার্টিলিটি সেন্টার দোষী প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে।