OMG! চায়ের দোকানে বসে আড্ডা দিচ্ছিল ভাই, কুপিয়ে খুন দাদার, হাড়হিম কাণ্ডে অবাক সকলে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর থানার মকরামপুর এলাকা সাক্ষী থাকল এক মর্মান্তিক ঘটনার। পারিবারিক বিবাদের জেরে দাদার হাতে খুন হলেন ছোট ভাই। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযুক্ত দাদা পলাতক, তার খোঁজে জোরদার তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় মকরামপুরের একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন আশরাফ সর্দার। অভিযোগ, ঠিক সেই সময়ই অতর্কিতে তাঁরই দাদা কালু সর্দার ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর ওপর হামলা চালায়। একের পর এক কোপ মারা হয় আশরাফের গলায়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন আশরাফ, রক্তে ভেসে যায় রাস্তার একাংশ। স্থানীয় বাসিন্দারাই দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান, কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। চিকিৎসকেরা আশরাফকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্ত কালু সর্দার পলাতক।

পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত আশরাফ এবং অভিযুক্ত কালু—দুই ভাইয়ের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল। এই জমি বিবাদই যে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ, তা প্রাথমিকভাবে অনুমান করছে পুলিশ।

মৃত আশরাফের ছেলে আসান সর্দার অভিযোগ করে বলেন, “আমার জ্যাঠা কালু সর্দার একাধিক বার আমার বাবাকে মারধর করেছে। এমনকি, বাড়িতে গিয়েও খুনের হুমকি দিয়ে গিয়েছে।” আসানের আরও অভিযোগ, অভিযুক্ত কালু সর্দার দীর্ঘদিন ধরেই নানা কুকর্মের সঙ্গে জড়িত। তিনি বলেন, “এলাকায় মাদক চক্রের সঙ্গে যুক্ত কালু সর্দার। কখনও অবৈধ ভাবে মদ বিক্রি করে। গাঁজার কারবারেও নাম জড়িয়েছিল।”

মৃতের স্ত্রী আনোয়ারা বিবি, ছেলে আসান এবং অন্যান্য আত্মীয়-স্বজন দ্রুত অভিযুক্তের গ্রেফতারি এবং কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে সোনারপুর থানা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।

এই ঘটনা আবারও পারিবারিক বিবাদের ভয়াবহ পরিণতি এবং সমাজে অপরাধমূলক কার্যকলাপের বিস্তার নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। পুলিশের দ্রুত পদক্ষেপ এবং অভিযুক্তের গ্রেফতারির দিকেই এখন এলাকার মানুষের নজর।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy