সিউড়িতে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। চকোলেট কিনতে গিয়ে এক মুদি দোকানির লালসার শিকার হয়েছে ১২ বছরের এক কিশোরী। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং অভিযুক্তের দোকানে ভাঙচুর চালান। খবর পেয়ে সিউড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তবে অভিযুক্ত এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে। পুলিশ ওই দোকানির দাদাকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।
অভিযোগ অনুযায়ী, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ১২ বছরের কিশোরী বাড়ির কাছেই একটি মুদির দোকানে চকোলেট কিনতে গিয়েছিল। চকোলেট কিনে বাড়ি ফেরার সময় দোকানদার তাকে ডেকে দোকানের ভিতরে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাকে ধর্ষণ করে। নাবালিকার চিৎকার শুনে প্রতিবেশের এক মহিলা তাকে উদ্ধার করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ওই মহিলা সংবাদমাধ্যমকে জানান, “আমি নিজেই দেখেছি বাচ্চাটির পিঠে হাত বোলাতে বোলাতে ও ভিতরে ঢোকে। কিন্তু বাচ্চাটা না বেরনোয় সন্দেহ হয়। আমি বেরিয়ে দোকানদারকে ধরি। কিন্তু ও প্রথমে স্বীকার করছিল না। পরে বাচ্চাটা বাড়ি যেতেই ও সব বলে দেয়।”
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া ও পুলিশের পদক্ষেপ:
বুধবার সকালে এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। স্থানীয় লোকজন অভিযুক্তের দোকানে ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। অভিযুক্ত মঙ্গলবার রাত থেকেই পলাতক। বুধবার সকালে পুলিশ অভিযুক্তের দাদাকে আটক করে। সিউড়ি থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের খোঁজ চলছে।