OMG! মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আনা শিঙাড়া খেল কে? তদন্তে নামলো এবার সিআইডি

হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুকুর জন্য পর্যটন হোটেল থেকে আনা হয়েছিল সামোসা (শিঙাড়া) ও কেক। কিন্তু সেই শিঙাড়া নাকি খেয়ে ফেলেছেন তাঁর নিরাপত্তাকর্মীরা।

গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় হিমাচল প্রদেশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তদন্ত শুরু করেছে।

সিআইডি জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য আনা শিঙাড়া ও কেক নিরাপত্তাকর্মীদের খাওয়ানো একটি ‘সরকারবিরোধী’ কাজ।

এই ঘটনা ঘটে গত ২১ অক্টোবর। ওই দিন মুখ্যমন্ত্রী সিআইডি সদর দপ্তরে একটি সাইবার উইং স্টেশন উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন বলে জানায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজন পুলিশ সদস্য, যাদের মধ্যে একজন নারী ইন্সপেক্টরও রয়েছেন, তাঁদের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদপত্রটি।

একজন কর্মকর্তা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, শোকজ নোটিশ পাওয়া পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য একজন ডিএসপির (ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ) সামনে রেকর্ড করার প্রক্রিয়া চলছে। ওই কর্মকর্তা এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের কঠোর শাস্তির সুপারিশ করেছেন।

ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ বিক্রম চৌহান এ ঘটনার ওপর তদন্ত প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্বে রয়েছেন। গত ২৫ অক্টোবর তিনি প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।

প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একজন ইন্সপেক্টর জেনারেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা একজন উপপরিদর্শককে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নিকটবর্তী একটি হোটেল থেকে তিন বাক্স শিঙাড়া ও কেক আনার নির্দেশ দেন।

এরপর ওই উপপরিদর্শক একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) এবং এক হেড কনস্টেবলকে খাবার আনার দায়িত্ব দেন। এএসআই ও হেড অব কনস্টেবল তিনটি সিল করা বাক্সে হোটেল থেকে খাবার নিয়ে আসেন এবং পরে সেটি উপপরিদর্শককে জানান।

কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়া পাঁচ পুলিশ সদস্যের মধ্যে দুজন জানিয়েছেন, তাঁরা যখন রাজ্যের পর্যটন বিভাগের কর্মীদের জিজ্ঞাসা করেন যে এই খাবারগুলো মুখ্যমন্ত্রীকে পরিবেশনের জন্য কি না, তখন তাঁরা বলেন যে, এটি মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত মেনুতে নেই। এ সম্পর্কে উপপরিদর্শককেও জানান তাঁরা।

পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত খাবারের তথ্য ছিল শুধু উপপরিদর্শকের কাছে। হোটেল থেকে আনা খাবারগুলো একজন নারী পরিদর্শকের কাছে পাঠানো হয় বলে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। ওই পরিদর্শক কোনো সিনিয়র অফিসারের সঙ্গে পরামর্শ না করে খাবারগুলো মেকানিক্যাল ট্রান্সপোর্ট সেকশনে পাঠান। তাঁরাই মূলত খাবারের আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন।

এই তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) অভিযোগ করেছে, রাজ্যের কংগ্রেস সরকার মুখ্যমন্ত্রীর খাবার নিয়ে বেশি চিন্তিত, জনসাধারণের সমস্যা নিয়ে নয়।

বিজেপি নেতা রণধীর শর্মা বলেছেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে সরকার কোনো উন্নয়নমূলক কাজে আগ্রহী নয় বরং কেবল খাবারের ওপরই তাদের মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছে!’

Related Posts

© 2024 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy