বনের বাঘ-সিংহ যদি বাড়ির ছাদে উঠে বসে এবং হেঁটে বেড়ায় তাহলে ঘরের লোকদের দম বন্ধ হওয়ার কথা। সম্প্রতি তেমনই গায়ে কাঁটা দেওয়া অভিজ্ঞতার হয়েছে গুজরাট রাজ্যের এক চাষির। তিনি ও পরিবারের সবাই বুঝতে পারেন, একটি নয়, তিন-তিনটি সিংহ বসে আছে তাদের মাটির বাড়ির টালির ছাদে।
রাজ্যের সোমনাথ জেলার ফাতসার গ্রামটি জঙ্গলের একেবারে কাছাকাছি। চাষি লাজলি মেসিয়া জানিয়েছেন, ঘটনাটি ঘটে রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে তিনি ওই সময় বাড়ির সামনের উঠোনে খাটিয়া পেতে গভীর ঘুমে। হঠাৎই মাটির বাড়ির টালির ছাদে কয়েকবার শব্দ হয়। শব্দে ঘুম ভেঙে গেলে লাজিয়া ছাদে টর্চের আলো ফেলেন।
টর্চের আলোতে তিনি যা দেখেন, তাতে মাথা ঘুরে যাওয়ার অবস্থা হয়। আসলে তখন ছাদে বসে রয়েছে তিনটি বিরাট চেহারার সিংহ। তারা মাঝে মধ্যে নড়েচড়ে বসছিল বলেই শব্দ হচ্ছিল। লাজিয়া বলেন, ‘দুটো ছোট মেয়ে আর বয়স্ক বাবা-মাকে নিয়ে কোথায় লুকাবো বুঝতে পারছিলাম না। একবার উপর থেকে ঝাপিয়ে পড়লে বাঁচার উপায় নেই।’
এমন অবস্থায় সতর্কতার সাথে পা টিপে টিপে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপদ দূরত্বে সরে যান লাজিয়া। দূর থেকে টর্চের আলো ফেলে সিংহগুলোকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন। এর মধ্যে প্রতিবেশীরা হাজির হন। তারাও সিংহগুলোকে তাড়ানোর চেষ্টা করেন। তাতে দু’টি সিংহ সরে পড়লেও একটিকে কিছুতেই ছাদ থেকে নামানো যাচ্ছিল না।
এরপরই খবর পেয়ে বনকর্মীরা এসে সিংহটিকে তাড়িয়ে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেয়। হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন ফাতসার গ্রামের বাসিন্দারা। পরিবারসহ বাঁচেন চাষি লাজিয়া মেসিয়া।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া