চুরি করতে এসে তেমন মূল্যবান কিছু না পেয়ে, গৃহকর্তার বাড়ির ফ্রিজ থেকে আপেল বের করে খায় দুষ্কৃতীরা। সেই সঙ্গে পাশের একটি ছোট হোটেলে হানা দিয়ে সেখানেও কিছু না পেয়ে, তারা ডিম ভেজে খায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার রাতের অন্ধকারে দুষ্কৃতী হানার ঘটনা ঘটল ভীমপুর থানা সংলগ্ন এলাকায়। সংশ্লিষ্ট ওই বাড়িতেই ভাড়া থাকেন এক পুলিশ কর্মীও। তার পরেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই পাঁচ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। যদিও দুষ্কৃতীরা তেমন কিছু নিয়ে যেতে পারেনি বলে প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে।
সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ভীমপুর থানার কাছেই দীনেশ বিশ্বাসের বাড়িতে। দীনেশ রাজস্থানে গ্রামীণ চিকিৎসকের কাজ করেন। বাড়িতে তার দুই ছেলেমেয়ে আর স্ত্রী থাকেন। বর্তমানে ছেলে পড়াশোনার কারণে কলকাতায় থাকেন। তার সঙ্গে থাকে দীনেশের স্ত্রীও। মেয়ে ভীমপুরের বাড়িতে থাকলেও একা থাকতে হবে বলে রাতে পাশেই মামার বাড়িতে চলে যায়। ওই বাড়িরই নিচের তলায় ভীমপুর থানার এক জন মহিলা কনস্টেবল ভাড়া থাকেন। সোমবার রাতে তিনি থানায় কর্তব্যরত অবস্থায় ছিলেন। ফলে, গোটা বাড়ি ফাঁকাই ছিল।
মঙ্গলবার সকালে দীনেশের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা বিশ্বাস মামার বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি এসে বিষয়টি প্রথম জানতে পারে। পরিবারের দাবি, দুষ্কৃতীরা প্রথমে নিচের তলার গেটের তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। তার পর একের পর এক দরজা ভেঙে দোতলার ঘরের ভেতরে ঢোকে।
অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা চারটি আলমারির লকার ভেঙে সমস্ত কিছু তছনচ করে। কিন্তু মাত্র কয়েক হাজার টাকা ছাড়া তেমন কিছুই পায়নি বলে দাবি। দীনেশের স্ত্রীর ভাই সুশোভন বালা বলেন, “বাড়ি ফাঁকা থাকে বলে আমার দিদি আলমারিতে না রেখে সমস্ত গয়না অন্য একটা জায়গায় লুকিয়ে রেখেছিল। যাতে চোরেরা হানা দিলেও খুঁজে না পায়।”
এর পাশাপাশি দুষ্কৃতীরা একটি মোটরবাইকের শো-রুম ও হোটেলে হানা দিয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে সেখান থেকেও বিশেষ কিছু নিতে পারেনি বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ দীনেশের বাড়ি থেকে দুষ্কৃতীদের ফেলে যাওয়া একটি বাঁকানো লোহার রড উদ্ধার করেছে। এর পরে নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত পাঁচ ব্যক্তিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।