
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফের নতুন সিদ্ধান্ত জানাল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। সম্প্রতি জারি করা এক সংশোধিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আপাতত ওবিসি (OBC) প্রার্থীদেরও সাধারণ (General) প্রার্থীদের মতোই চাকরির জন্য আবেদন করতে হবে। আদালতের চূড়ান্ত রায়ের পরই ওবিসি তালিকাভুক্ত প্রার্থীরা তাঁদের সংরক্ষিত শ্রেণি উল্লেখ করে আলাদাভাবে আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
এই সিদ্ধান্তের ফলে আবেদন ফি-তেও পরিবর্তন এসেছে। এতদিন তফসিলি জাতি ও জনজাতি (SC/ST) প্রার্থীদের জন্য এসএসসির চাকরির পরীক্ষার আবেদনপত্রের দাম ছিল ২০০ টাকা, এবং জেনারেল প্রার্থীদের জন্য ৫০০ টাকা। এখন থেকে ওবিসি প্রার্থীদেরও জেনারেলদের মতো ৫০০ টাকা আবেদন ফি জমা দিতে হবে।
SSC-র পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, ওবিসি সংরক্ষণ সংক্রান্ত মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হওয়ার পরই কমিশন আবেদনপত্রের জন্য একটি নতুন উইন্ডো চালু করবে। সেই সময়ে ওবিসি প্রার্থীরা তাঁদের ক্যাটেগরি আপডেট করার সুযোগ পাবেন। উল্লেখ্য, রাজ্য সরকারের তৈরি করা নতুন সংরক্ষণ তালিকার ওপর কলকাতা হাইকোর্ট সম্প্রতি অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের আগে মোট ৬৬টি জনগোষ্ঠীকে ওবিসি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ২০১০ সালের পর থেকে যাদের ওবিসিতে নথিভুক্ত করা হয়েছে, তাঁদের শংসাপত্র বাতিল করা হয়েছে।
কয়েক দিন আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, চাকরিহারাদের আপাতত নতুন করে পরীক্ষায় বসতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে রাজ্য সরকার ১৬ জুন থেকে চাকরির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু করেছে। আগামী ১৪ জুলাই অনলাইনে আবেদনের শেষ দিন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রাথমিকভাবে শীর্ষ আদালত ২৪,২০৩টি পদে নিয়োগের কথা বললেও, রাজ্য সরকার পদের সংখ্যা বাড়িয়ে মোট ৪৪,২০৩টি পদে নিয়োগ করবে। এর মধ্যে গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র পদও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছিলেন, বয়সের কারণে কেউই পরীক্ষায় বসতে আটকাবেন না। তিনি বলেছিলেন, “যাঁরা চাকরি করে এসেছেন, অথচ বয়স পেরিয়ে গিয়েছে… চাকরিহারাদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে বয়সে ছাড় দেওয়া হবে। বয়সের জন্য আটকাবে না। প্রত্যেকেই পরীক্ষায় বসতে পারবেন। যাঁরা এতদিন কাজ করেছেন, তাঁদের এক্সপেরিয়েন্স অ্যাডভান্টেজ দেব, যাতে তাঁরা তাঁদের কর্মস্থানে থেকে যেতে পারেন।”
এসএসসির এই নতুন নির্দেশিকার ফলে ওবিসি প্রার্থীদের মধ্যে সাময়িক বিভ্রান্তি তৈরি হলেও, কমিশন জানিয়েছে এটি আদালতের নির্দেশ মানার একটি অন্তর্বর্তীকালীন পদক্ষেপ। চূড়ান্ত রায় এলে চিত্রটা স্পষ্ট হবে।