
বিহারের রাজধানী পাটনায় এক ২৭ বছর বয়সী যুবতীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পাটনার একটি বাড়ি থেকে ওই তরুণীর অর্ধদগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, এটি খুন এবং খুনের পর প্রমাণ লোপাটের উদ্দেশ্যে গ্যাস দিয়ে দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, মৃত যুবতীর নাম সঞ্জনা সিং। তাঁর বাড়ি বিহারের মজফ্ফরপুরে। তিনি সরকারি চাকরির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন এবং সেই কারণে গত ছ’মাস ধরে পাটনায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে একা থাকছিলেন। সদ্যই তিনি সেক্রেটারিয়েট-এ একটি চাকরিও পেয়েছিলেন এবং আগামী ৫ জুন তাঁর নতুন চাকরিতে যোগদানের দিন নির্ধারিত ছিল। কিন্তু তার আগেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েকদিন ধরে মেয়ের কোনও খোঁজ না পেয়ে মুজফ্ফরপুর থেকে সঞ্জনার পরিবারের সদস্যরা পাটনার বাড়িতে পৌঁছন। সেখানেই তাঁরা সঞ্জনার মৃতদেহ উদ্ধার করেন এবং সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় এস কে পুরী পুলিশ স্টেশনে খবর দেন। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে।
পুলিশ সূত্রে আরও খবর, মৃত তরুণীর মুখে একটি LPG পাইপ গোঁজা অবস্থায় পাওয়া গেছে। সম্ভবত গ্যাস ব্যবহার করে দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু পুরো দেহ পোড়েনি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তরুণীর গলায় ছুরির দাগ রয়েছে, যা থেকে বোঝা যায় তাঁকে প্রথমে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তথ্য প্রমাণ সংগ্রহের জন্য ফরেনসিক টিমকেও ডাকা হয়েছে।
পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে। ওই বাড়িতে কে বা কারা এসেছিল বা কার আনাগোনা ছিল, তা জানতে আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। একই সঙ্গে পাটনায় তাঁর প্রতিবেশীদের কাছ থেকেও তথ্য সংগ্রহ করার চেষ্টা করছে পুলিশ।
সরকারি চাকরি পাওয়ার ঠিক আগেই এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুতে হতভম্ব সকলেই। পুলিশ এই রহস্যের কিনারা করতে সব দিক খতিয়ে দেখছে।