
মঙ্গলবার সকালে ইরানের একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে তিনজন নিহত এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস। এই হামলার ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনাকে আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলের জরুরি সেবা সংস্থা ম্যাগেন ডেভিড আদম (MDA) ঘটনাস্থলের ভয়াবহ বর্ণনা দিয়েছে। তাদের কর্মীরা জানিয়েছে, “যে এলাকায় হামলা হয়েছে সেখানে গিয়ে আমরা দেখতে পেয়েছি কালো ধোঁয়া উড়ছে। সামনের দিকে এগোতেই দেখতে পাই একাধিক ভবনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনা ঘটেছে। একটি ভবনের বাইরে একজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেছি। ভবনের ভেতর ঢোকার পর আমরা একজন নারী ও এক পুরুষকে অচেতন অবস্থায় পাই।” এই তিনজনই হামলায় নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।
জরুরি সেবা বিভাগ তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের জন্য জরুরি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করেছে। এছাড়াও, হামলার পর যারা ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলো থেকে বেরিয়ে এসেছেন, তাদেরও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
এর আগে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ইরান থেকে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে সাইরেন বাজতে শুরু করে। আইডিএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, “কিছুক্ষণ আগে ইরানের ভূখণ্ডের দিক থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার বিষয়টি শনাক্ত করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং এটি প্রতিহত করতে কাজ করছে তারা।”
ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা পাওয়ার পর ইসরায়েলি বাসিন্দাদের দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেখানেই থাকতে বলা হয়েছে। এই হামলা এমন এক সময়ে ঘটল যখন মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে এবং আন্তর্জাতিক মহল থেকে সংযম পালনের আহ্বান জানানো হচ্ছে। এই হামলার ঘটনা দুই দেশের মধ্যে সংঘাতকে কোন দিকে নিয়ে যায়, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়ছে।