
আইপিএলের প্লে-অফ নিশ্চিত করা রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে দাপট দেখিয়ে হারিয়েছে আসর থেকে ছিটকে পড়া সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। এই ম্যাচে হায়দরাবাদ ৬ উইকেটে ২৩১ রান তোলে, যার জবাবে বেঙ্গালুরু ১৮৯ রানে অলআউট হয়। ম্যাচ শেষে উভয় দলের অধিনায়ককেই জরিমানা করেছে আইপিএল কর্তৃপক্ষ, তবে বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক রজত পাতিদারের উপর নেমেছে তুলনামূলক বেশি শাস্তির খাড়া।
ম্যাচটিতে উভয় দলের অধিনায়কই একই ভুল করেছিলেন – নির্ধারিত সময়ের ভেতর ওভার শেষ করতে পারেননি। তবে একই নিয়ম লঙ্ঘন করেও বেশি শাস্তি পেয়েছেন বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক রজত পাতিদার। এই মৌসুমে এটি দ্বিতীয়বারের মতো স্লো ওভার রেটের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন বেঙ্গালুরু অধিনায়ক। সে কারণে তার শাস্তির মাত্রাও বেশি। পাতিদারের ২০ লাখ জরিমানা হয়েছে। এছাড়াও, বেঙ্গালুরুর দুই ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটার (পাতিদার ও সুয়াশ শর্মা) এর ৬ লাখ জরিমানা হয়েছে।
অন্যদিকে, আসরে প্রথমবার স্লো ওভার রেটের নিয়ম ভঙ্গ করায় তুলনামূলক কম শাস্তি পেয়েছেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। তাকে গুনতে হচ্ছে ১২ লাখ । যদিও এই ম্যাচ জয় দিয়ে আসরের শেষটা করলো তার দল। ১৩ ম্যাচে হায়দরাবাদের পয়েন্ট ১১, বাকি আর একটি ম্যাচ। বিপরীতে বেঙ্গালুরু সমান ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিনে রয়েছে।
উল্লেখ্য, এই ম্যাচটিতে বেঙ্গালুরুর নিয়মিত অধিনায়ক রজত পাতিদার নেমেছিলেন ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে। ফলে সাময়িক অধিনায়কত্ব পান জিতেশ শর্মা। তবে আইপিএল কর্তৃপক্ষ স্লো ওভার রেটের দায় মূল অধিনায়ক হিসেবে পাতিদারকেই দিয়েছে। একই পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন রাজস্থান রয়্যালসের অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসনও। রিয়ান পরাগ অধিনায়কত্ব করলেও, ইম্প্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে তিনি খেলেছিলেন। এরপর ধীরগতিতে খেলার দায়ে ২৪ লাখ জরিমানা হয়েছিল স্যামসনের।
আইপিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্লো ওভার রেটের নিয়ম তৃতীয়বার লঙ্ঘন করলে পাতিদারকে আরও বড় শাস্তি পেতে হবে। যদিও ২০২৪ আসরের নিয়ম অনুযায়ী সেটি ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত যেতে পারত। তবে নতুন আসরের নিয়ম মোতাবেক সেই শাস্তি হচ্ছে না, নামের পাশে যুক্ত হবে ডিমেরিট পয়েন্ট। পুরোনো নিয়ম অনুসারে চলতি আইপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়াকে পায়নি মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, কারণ তিনি পূর্ববর্তী আসরে স্লো ওভার রেটের কারণে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন।