বুকে অস্বস্তি নিয়ে হাসপাতালে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়, শঙ্কা কাটেনি

ভারতের দক্ষিণ কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন কিংবদন্তী অভিনেত্রী সন্ধ্যা রায়। বুকে অস্বস্তি নিয়ে তিন দিন আগে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সোমবার (১৭ জুন) আনন্দবাজার পত্রিকাসহ কলকাতার শীর্ষ সংবাদমাধ্যমগুলো এমনটাই বলছে।
৭৯ বছর বয়সী সন্ধ্যা রায়ের সহকারী জানিয়েছেন, শনিবার আচমকাই বুকে অস্বস্তি শুরু হয় অভিনেত্রীর। সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, সারা শরীরে অস্বস্তি। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। সেখানে জরুরি বিভাগে পরীক্ষার পরেই তাকে ভর্তি নেওয়া হয়।
রক্ত পরীক্ষাসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে তার। তাকে নিয়মিত দেখাশোনা করছেন চিকিৎসকদের একটি দল। ইতিমধ্যেই তার ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি হয়েছে।
এর মধ্যে সোমবার হাসপাতালের তিন জনের একটি চিকিৎসক দল জানিয়েছে, এখনো স্থিতিশীল নন সন্ধ্যা রায়। আশঙ্কাও কাটেনি। হার্টে সমস্যা রয়েছে তার।
সাদা কালো থেকে রঙিন, বাংলা সিনেমায় দীর্ঘ ২৫ ধরে দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন সন্ধ্যা রায়। বছর তিনেক আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ২০২২ সালের জুলাইয়ে স্বামী তরুণ মজুমদারকে হারান অভিনেত্রী। ১৯৬৭ সালে বিখ্যাত পরিচালকের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন তিনি।
মাত্র ১৬ বছর বয়সে রূপালী জগতে পা রাখেন সন্ধ্যা রায়। তার প্রথম সিনেমা ‘মামলার ফল’ (১৯৫৭)। এছাড়াও রয়েছে সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ এবং তরুণ মজুমদারের ‘ঠগিনি’। অন্যদিকে পুরোদস্তুর বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন। যেমন ‘বাবা তারকনাথ’ কিংবা ‘দাদার কীর্তি’, ছোট ‘বউ’, ‘মায়া মৃগয়া’, ‘কঠিন মায়া’, ‘বন্ধন’, ‘পলাতক’, ‘তিন অধ্যায়’, ‘আলোর পিপাসা’, ‘ফুলেশ্বরী’, ‘সংসার সীমান্তে’ ও ‘নিমন্ত্রণ’।
অভিনয়ের পাশাপাশি রাজনীতির ময়দানেও নেমেছিলেন সন্ধ্যা রায়। ২০১৪ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে মেদিনীপুর কেন্দ্র থেকে নির্বাচন লড়ে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। ২০১৯-এর নির্বাচনে বয়সজনিত কারণে সরে দাঁড়ান বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী।