‘বাবার কাছে চলে যাই’, লিখলেন ইরফান-পুত্র, বাবিল কি অবসাদে ভুগছেন?

২০২২ সালে “কালা” চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হওয়া তরুণ অভিনেতা বাবিল খান। কিন্তু রুপোলি পর্দায় ছেলেকে দেখার সুযোগ হয়নি প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানের। ২০২০ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে ইরফান খান চিরতরে বিদায় নেন। বাবা হারানোর বেদনা বারবার ফুটে ওঠে বাবিলের কথায়, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে।
সম্প্রতি, ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে বাবিল লেখেন, “মাঝে মাঝে মনে হয় সব ছেড়ে বাবার কাছে চলে যাই”। এই পোস্টের পর থেকেই নেটমাধ্যমে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। ২৫ বছর বয়সী এই তরুণের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এই জল্পনার আগেও, এক সাক্ষাৎকারে বলিউড পার্টিতে না যাওয়ার কারণ জানিয়েছিলেন বাবিল। তিনি বলেছিলেন, “কারণ আমি স্টার কিড নই। বাবা কোনো দিক থেকেই কনটেম্পোরারি স্টার ছিলেন না। কিন্তু এখন তিনি চলে যাওয়ার পর আলোচনায় আসেন বেশি। তিনি ছিলেন অন্যরকম। আপনি তাকে কখনোই কোনো ছাঁচে ফেলতে পারবেন না। মাঝে মাঝে পার্টিতে যাই আমি। আমার সামাজিক উদ্বেগ রয়েছে, তবে এটিই একমাত্র কারণ নয়। আমি একা থাকতে পছন্দ করি। আমি যেমন তেমনই থাকতে চাই।”
বেড়ে ওঠার সময় বাবাকে খুব বেশি কাছে পাননি তিনি। বাবার সাথে দূরত্বর কথাও বারবার উল্লেখ করেছেন। বলেছেন, “যখন কেউ তাকে টেনে নিয়ে যেত, কারণ একদল ভক্ত তাঁর দিকে ছুটে আসছে, আর যখন হাতটা ছেড়ে যেত, একটা বাচ্চার জন্য সেটা ছিল বেদনাদায়ক। বাবার সঙ্গে আমার দূরত্ব ছিল, শারীরিক দূরত্ব ছিল, কারণ তিনি প্রচুর শ্যুটিং করতেন। তবে তিনি যখন বাড়িতে থাকতেন,তখন তিনি আমার প্রতি খুব স্নেহশীল ছিলেন।”
ইরফান খানের মৃত্যু বাবিলের উপর প্রবল আঘাত হেনেছে। সেটা স্বাভাবিকভাবেই তার মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করেছে।
তবে, ইনস্টাগ্রাম পোস্ট করেই অবসাদে ভুগছেন এমন निष्कर्षে পৌঁছানো ঠিক হবে না। মানসিক অবস্থা একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত বিষয়। সবার প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত এবং তার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত।