বলিউড তারকাদের সন্তান মানেই যেন এক রঙিন, ঝলমলে জীবন। অন্তত বাইরের চোখে তাই দেখা যায়। কিন্তু সেই আড়ম্বরের আড়ালে লুকিয়ে থাকে অনেক না বলা কথা, অনেক অন্ধকার। ঠিক তেমনই এক বাস্তব উঠে এসেছে আলিয়া ভাট ও তাঁর দিদি শাহিন ভাটের একটি পুরনো সাক্ষাৎকারে, যা সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
সাক্ষাৎকারে শাহিন ভাট অকপটে স্বীকার করেন, “মাত্র ১৭-১৮ বছর বয়সেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলাম।” তাঁর এই মন্তব্যে রীতিমতো চমকে যান অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করে। একজন লেখেন, “এই বয়সে কেউ আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে পড়লে, তার মানে ছোটবেলা থেকেই অনেক না পাওয়ার যন্ত্রণা, মানিয়ে না নেওয়ার কষ্ট জমে রয়েছে তার মধ্যে।”
এই স্বীকারোক্তির পরেই পাশে বসা আলিয়া নিজেকে আর সামলাতে পারেননি। চোখের কোণ ভিজে ওঠে। কাঁপা গলায় বলেন, “শাহিন শুধু আমার দিদি নয়, ও আমার জীবনের অন্যতম প্রিয় মানুষ। ছোটবেলা থেকেই আমি বুঝেছি, ও মানুষ হিসেবে অসাধারণ। আর যদি এমন একজন প্রিয় মানুষ এমন কিছু বলে, সেটা খুবই কষ্টের।”
আলিয়া নিজে দীর্ঘসময় ডিপ্রেশনে ভোগেননি, তবে বলিউডের আর এক বড় তারকা দীপিকা পাড়ুকোন মানসিক অবসাদের সঙ্গে লড়াই করার কথা প্রকাশ্যে এনেছেন বহুবার।
ভাট পরিবারের কথায় ফিরলে, মহেশ ভাটের প্রথম পক্ষের সন্তান পূজা ভাট ও রাহুল ভাটও একাধিকবার তাঁদের জীবনের কঠিন সময়ের কথা জানিয়েছেন। পূজার বলিউড কেরিয়ার যতদূর এগোনো উচিত ছিল, তা হয়নি—এমন মন্তব্য বহুবার ঘুরেছে চর্চায়। অন্যদিকে, দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান আলিয়া ও শাহিন হয়তো নামকরা পরিবারে জন্মেছেন, কিন্তু তাঁদের জীবনপথও খুব একটা মসৃণ ছিল না।
বিশেষ করে শাহিন বরাবরই মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সরব থেকেছেন। লিখেছেন বইও— “I’ve Never Been (Un)Happier”—যেখানে তিনি তাঁর হতাশা, বিষণ্ণতা ও আত্মহত্যার চিন্তা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন।
সব মিলিয়ে এই ভাইরাল ইন্টারভিউটি ফের একবার মনে করিয়ে দিল, গ্ল্যামার জগতের আড়ালে থাকা যন্ত্রণার গল্পগুলো যতটা না চোখে পড়ে, তার চেয়েও অনেক বেশি অনুভবের স্তরে লুকিয়ে থাকে।