বলিউডে একাধিক সিনেমার শুটিং সেটে এমন অনেক ঘটনা ঘটেছে, যেগুলোর ব্যাখ্যা বিজ্ঞানের বোধগম্যতার বাইরে। তেমনই এক রহস্যময় অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছিল ১৯৯৪ সালের ব্লকবাস্টার ছবি লাডলা-র সেট।
ছবির প্রথম দিকের শুটিং শুরু করেছিলেন বলিউডের উজ্জ্বল উদীয়মান নায়িকা দিব্যা ভারতী। তখন তিনি জনপ্রিয়তার শীর্ষে। লাডলা-র গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছিলেন তিনি। কিন্তু এক রাতে হঠাৎই মুম্বইয়ের নিজের ফ্ল্যাটের বারান্দা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় মাত্র ১৯ বছর বয়সী দিব্যার। সেই মৃত্যু আজও রহস্যে মোড়া, বলিউডে নানা তত্ত্ব ঘোরাফেরা করে।
দিব্যার মৃত্যুর পর নির্মাতারা ছবির কাজ বন্ধ না রেখে সেই চরিত্রে নেন শ্রীদেবীকে। কিন্তু সেখানেই ঘটে এক বিস্ময়কর ঘটনা।
এক সাক্ষাৎকারে রবিনা ট্যান্ডন জানিয়েছেন, “দিব্যা যখন একটি বিশেষ সংলাপ বলার চেষ্টা করছিলেন, তখন বারবার আটকে যাচ্ছিলেন। অবাক করার মতো বিষয় হল, শ্রীদেবী যখন সেই একই দৃশ্যের শুটিং করতে এলেন, তিনিও ঠিক একই সংলাপ বলার সময় বারবার গলদঘর্ম হচ্ছিলেন। পুরো ইউনিট স্তব্ধ হয়ে যায়। মনে হচ্ছিল, যেন কারও অদৃশ্য উপস্থিতি সেখানে ঘুরে বেড়াচ্ছে।”
সেদিনের সেই অভিজ্ঞতা এতটাই তীব্র ছিল যে, ইউনিটের সদস্যরা শুটিং বন্ধ রেখে মন্ত্র পাঠ শুরু করেন। নারকেল ফাটিয়ে, পুজো দিয়ে ‘অশুভ শক্তি’ থেকে মুক্তির চেষ্টা করা হয়। হিন্দু বিশ্বাস অনুযায়ী, নারকেল ফাটানো শুভ, তাই তা-ই করা হয়েছিল। তারপরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং শুটিং নির্ভিগ্নে এগোতে থাকে।
লাডলা মুক্তি পাওয়ার পর দারুণ সাফল্য পায়। বক্স অফিসে হিট হয় ছবিটি। অনেকেই বিশ্বাস করেন, ছবিটির সঙ্গে থেকে গিয়েছিল দিব্যা ভারতীর অদৃশ্য আশীর্বাদ।
একদিকে তাঁর অকালপ্রয়াণ, অন্যদিকে শুটিং সেটে ঘটতে থাকা অস্বাভাবিক ঘটনা—সব মিলিয়ে লাডলা ছবিটি বলিউডের ইতিহাসে এক রহস্যময় অধ্যায় হয়ে রয়ে গিয়েছে।