অবশেষে বহু প্রতীক্ষার অবসান। আগামী সোমবার (৮ জুলাই) স্টার জলসার পর্দায় আসছে ঐতিহাসিক ধারাবাহিক ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’, ঠিক রাত ৮:৩০টায়। এই স্লটেই এতদিন সম্প্রচারিত হত জনপ্রিয় মেগা ‘গৃহপ্রবেশ’, কিন্তু নতুন সিরিয়ালের আগমনে সরে যেতে হল সেই ধারাবাহিককে। তবে একেবারে শেষ হয়ে যাচ্ছে না উষসী-সুস্মিত অভিনীত ‘গৃহপ্রবেশ’। এখন থেকে দর্শকরা তা দেখতে পারবেন রাত ১০টা থেকে।
এই স্লট পরিবর্তনের ফলে, এবার ‘গৃহপ্রবেশ’-এর মোকাবিলা হবে জি বাংলা-র ‘আনন্দী’ ও ‘মিত্তির বাড়ি’-র মতো ধারাবাহিকের সঙ্গে। ‘রোশনাই’-এর সম্প্রচার বন্ধ হওয়ার পর সেই সময়েই জায়গা করে নিচ্ছে এই মেগা।
একই দিনে একই সময়ে (৮:৩০ PM) স্টার জলসা ও জি বাংলায় লড়াইয়ে নামছে দুটি নতুন ধারাবাহিক— ‘রাণী ভবানী’ (রাজনন্দিনী পাল) বনাম ‘দাদামণি’ (প্রতীক সেন)। এখন দেখার, ঐতিহাসিক কাহিনি বেশি দর্শক টানবে, না কি সমাজ-রাজনীতির পটভূমিতে দাঁড়ানো নতুন নাটক।
‘রাণী ভবানী’-কে ঘিরে প্রচারে বাজিমাত করেছে স্টার জলসা। শুক্রবার আয়োজিত রোড শো-তে রীতিমতো আশির দশকের রাজকীয়তা ফুটে উঠল। পালকিতে রাণীর বেশে রাজনন্দিনী পালের রাজকীয় আগমন, গায়ে লাল বেনারসি আর ভারী সোনার গয়নায় যেন ইতিহাস ফিরে এলো চোখের সামনে।
ধারাবাহিকটির গল্পে থাকছে রাণী ভবানীর শৈশব থেকে ইংরেজদের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই— তারাপীঠ মন্দিরের সঙ্গে যোগ, সমাজসেবা, আত্মসম্মান ও সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। ‘রাণী রাসমণি’ ও ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’-এর জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রাখলে, এই ধারার গল্প যে বাঙালির পছন্দের তালিকায় শীর্ষে, তা বলাই যায়।
এদিকে, ‘গৃহপ্রবেশ’-এ জমজমাট টানাপড়েন। গৃহপরিচারিকার ছদ্মবেশে লাকির আগমন এবং তাকে অবশেষে চিনে ফেলা শুভলক্ষ্মীর হাত ধরেই শুরু হয়েছে নতুন অধ্যায়। আদৃত ও শুভলক্ষ্মীর ভুল বোঝাবুঝি কেটে গিয়ে এবার লক্ষ্য মোহনা। সে আদৌ অন্তঃসত্ত্বা কিনা, না কি এও কোনও চালাকি— প্রকাশ পাবে সেই রহস্যও।