টলিউডে একের পর এক বিচ্ছেদের খবর আসছে। শুরু হয়েছে চারদিকে ঘর ভাঙার খেলা। এ মুহূর্তে যে বিয়েবিচ্ছেদের খবর সবাইকে অবাক করছে, তা যিশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তের। যদিও দুজনের কেউ-ই এ প্রসঙ্গে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা দেননি। শুধু কানাঘুষা চলছে। ইতোমধ্যে নিজের কলকাতার বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র থাকছেন যিশু। এদিকে ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা ঋষি কৌশিকের ১২ বছরের দাম্পত্যে ভাঙনের খবর ছড়িয়েছে। অন্যদিকে অভিনেতা অর্জুন চক্রবর্তীর দাম্পত্যের দূরত্বও বেড়ে গেছে অনেক।
এত ভাঙনের মাঝে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কতটা আত্মবিশ্বাসী টালিউডের জনপ্রিয় দম্পতি গৌরব চট্টোপাধ্যায় ও দেবলীনা কুমার। যদিও দেখা যায়, ইনস্টাগ্রাম রিলে দেবলীনার পাশে গৌরবের দেখা মেলা ভার। স্বভাবের দিক থেকে দুজন নাকি একেবারে বিপরীত মেরুর মানুষ। দেবলীনা চঞ্চল ও প্রাণোচ্ছল। আর গৌরব ততটাই শান্ত। বাইরে বেরিয়ে পার্টি করা বা হইহই করা মোটেও তার পছন্দ নয়। বাইরের লোক দেখলে নিজেকে খানিক গুটিয়ে নেন এ অভিনেতা।
গৌরবের জন্মদিনের সময় আনন্দবাজারের এক সাক্ষাৎকারে দেবলীনা জানিয়েছিলেন— দুজনের এই বৈপরীত্য আদতে তাদের সুবিধাই করেছে। দুজনেই দুজনকে নিজের মতো করে বাঁচার জায়গাটুকু ছাড়তে জানেন। তবে গৌরব বলেন, দেবলীনার আক্ষেপ— আমি রোমান্টিক নই। যদিও বর্তমান সময়ে টালিউডের ঘরভাঙার কাহিনি শুনে ভয় পাচ্ছেন তারা দুজনেই।
গৌরব বলেন, আসলে গত কয়েক দিন ধরেই সংবাদমাধ্যমে যিশুদা ও নীলাঞ্জনাদির বিচ্ছেদের খবর শুনছি। যাদের অনুপ্রেরণাভাবে মানুষ, তাদেরই জীবনে খারাপ কিছু ঘটলে অদ্ভুত একটা অনুভূতি হয়; মন খারাপ লাগে। আমার ও দেবলীনার এসব দেখে ভয় হয়। তবু এতকিছুর মধ্যে যতটা ভালো থাকা যায় তার রসদটা খুঁজে নিই।
গৌরব আরও বলেন, তাদের মধ্যে আলোচনাও হয়। তারা ভেবে দেখেছেন— কখনো যদি তাদের সম্পর্কে এমন দুঃসময় আসে, কীভাবে সামাল দেবেন তারা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর বিয়ে করেন দেবলীনা ও গৌরব। প্রায় সাড়ে তিন বছর একসঙ্গে পার করে ফেলেছেন তারা। একসঙ্গে সাইকেলিং করা হোক কিংবা শরীরচর্চা— টালিউডের ‘পাওয়ার কাপল’দের মধ্যে অন্যতম তারা।