CID-র হাতে ভয়ঙ্কর তথ্য, কোন টাকায় চলছে এই নামজাদা বেসরকারি স্কুল?

ভুয়ো কল সেন্টারের জালিয়াতির টাকা বেসরকারি স্কুলে বিনিয়োগের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠে এল বিধাননগর ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার তদন্তে। সল্টলেক সেক্টর ফাইভে কল সেন্টার চালিয়ে বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে আত্মসাৎ করা কোটি কোটি টাকা ওড়িশার একটি বেসরকারি স্কুলে বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে পুলিশ জানতে পেরেছে। এই অভিযোগে ওড়িশার খণ্ডগিরি থেকে ভুয়ো কল সেন্টারের ডিরেক্টর দিলীপ শর্মাকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। বুধবার তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, দিলীপ শর্মা ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে বিধাননগর ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় ভুয়ো কল সেন্টার চালানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই কল সেন্টারের মাধ্যমে দেশের পাশাপাশি বিদেশের নাগরিকদেরও প্রতারণা করা হতো। প্রতারকরা নিজেদের নামী সংস্থার আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়ে ফোন করত। তারপর বিভিন্ন অজুহাতে টাকা আদায় করত।

সিআইডির তদন্তে আরও উঠে এসেছে, দিলীপ শর্মা তার স্ত্রীর নামে ওড়িশার খণ্ডগিরিতে একটি বেসরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ভুয়ো কল সেন্টার থেকে আত্মসাৎ করা টাকা এই স্কুলে বিনিয়োগ করা হতো বলে অভিযোগ। এখন পর্যন্ত পুলিশের ধারণা, এই কল সেন্টারের মাধ্যমে ৫০ কোটিরও বেশি টাকা জালিয়াতি করা হয়েছে। তবে তদন্ত এগোলে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানা গিয়েছে।

দিলীপ শর্মার বিরুদ্ধে ইলেক্ট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় দায়ের করা মামলায় সিআইডি তদন্ত চালাচ্ছে। ওড়িশা থেকে তাকে গ্রেফতারের পর কলকাতায় নিয়ে এসে জেরা চালানো হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই কল সেন্টারের সঙ্গে জড়িত আরও কয়েকজনকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

এই ঘটনায় রাজ্য ও কেন্দ্রীয় পুলিশের তদন্ত এজেন্সিগুলো সতর্ক হয়েছে। ভুয়ো কল সেন্টারের মাধ্যমে কীভাবে এত বড় আকারের জালিয়াতি চালানো সম্ভব হয়েছিল, তা নিয়ে তদন্ত চলছে। পাশাপাশি, স্কুলে বিনিয়োগ করা অর্থের উৎস এবং এর সঙ্গে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

এই মামলায় গ্রেফতার হওয়া দিলীপ শর্মার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। তদন্ত এগোলে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Related Posts

© 2025 Tech Informetix - WordPress Theme by WPEnjoy