আর কয়েক দিন পরেই পেশ হতে চলেছে তৃতীয় মোদী সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট (Union Budget 2025)। মূল্যবৃদ্ধির এই পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ এবারের বাজেটের দিকে তাকিয়ে আছেন অনেক আশা নিয়ে। বিশেষ করে করদাতারা আয়করে ছাড়ের আশা করছেন। মনে করা হচ্ছে, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ২০২৫ সালের বাজেটে কিছু বড় ঘোষণা করতে পারেন, যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
আয়করের স্ল্যাবে পরিবর্তন এনে কীভাবে সাধারণ মানুষের আর্থিক বোঝা কমানো যায়, সেদিকে বিশেষ নজর দিতে পারেন অর্থমন্ত্রী। পুরনো আয়কর কাঠামোতে কিছু ছাড় বাড়ানোর সম্ভাবনাও রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন:
ধারা 80TTA (সেভিংস অ্যাকাউন্টের সুদ): এই ধারার অধীনে ছাড়ের সীমা ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
ধারা 80TTB (প্রবীণ নাগরিকদের জন্য): প্রবীণ নাগরিকদের জন্য ফিক্সড ডিপোজিটের সুদের উপর ডিডাকশন লিমিট ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লক্ষ টাকা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
ধারা 80TTA: বিস্তারিত
আয়কর আইন, ১৯৬১-এর ধারা 80TTA অনুযায়ী, ব্যাঙ্ক, সমবায় ব্যাঙ্ক বা পোস্ট অফিসে রক্ষিত সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে প্রাপ্ত সুদের উপর ব্যক্তি এবং হিন্দু অবিভক্ত পরিবার (HUF) ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ছাড় পেতে পারেন। এই ছাড় ৬০ বছরের কম বয়সী এবং HUF-এর জন্য প্রযোজ্য। স্থায়ী আমানত (FD) বা রেকারিং ডিপোজিট (RD) থেকে প্রাপ্ত সুদের ক্ষেত্রে এই ছাড় প্রযোজ্য নয়। ২০১২-১৩ অর্থবর্ষে এই ধারা চালু হওয়ার পর থেকে এর সীমাতে কোনো পরিবর্তন হয়নি। তাই, এবারের বাজেটে এই বিষয়ে কিছু পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে।
প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বিশেষ সুবিধা: ধারা 80TTB
ধারা 80TTA-এর বিপরীতে, ধারা 80TTB বিশেষভাবে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য তৈরি করা হয়েছে। এটি বিভিন্ন ধরনের সুদের আয়ের উপর বিস্তৃত পরিসরে ছাড় প্রদান করে। প্রবীণ নাগরিকরা এই ধারার অধীনে সেভিংস, ফিক্সড এবং রেকারিং ডিপোজিট (RD) থেকে প্রাপ্ত সুদের উপর বর্তমানে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন। এই ছাড় ব্যাঙ্ক আমানতকারী, পোস্ট অফিস আমানতকারী সহ নিরাপদ বিনিয়োগের উপর নির্ভরশীল প্রবীণ নাগরিকদের আর্থিক সুবিধা প্রদান করে। তবে, বন্ড এবং ডিবেঞ্চার থেকে অর্জিত সুদ এই ছাড়ের আওতায় আসে না।
নতুন কর ব্যবস্থা নিয়ে দাবি
ভারতে স্বাস্থ্যখাতে ক্রমবর্ধমান খরচের কথা মাথায় রেখে, ধারা 80TTB-এর অধীনে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বর্তমান ৫০ হাজার টাকার সীমা বাড়িয়ে কমপক্ষে ১ লক্ষ টাকা করার দাবি উঠেছে। এই পরিবর্তনের ফলে আরবিআই কর্তৃক রেপো রেট কমানোর কারণে সুদের হারে সম্ভাব্য হ্রাসের ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হবে।
