সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে যে, বিভিন্ন মামলায় যে-সাক্ষীদের নিরাপত্তাজনিত সমস্যা বা সম্ভ্রমহানির আশঙ্কা রয়েছে, যারা আঠেরোর কমবয়সি, সেই ‘ভালনারেবল উইটনেস’দের জন্যে দেশের সব জেলায় ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বিশেষ সাক্ষ্যগ্রহণ কেন্দ্র (ভালনারেবল উইটনেস ডিপোজিশন সেন্টার) চালু করতে হবে।
প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
২০১৮ সালে মহারাষ্ট্রের একটি মামলায় এই বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি গীতা মিত্তলের নেতৃত্বে শীর্ষ আদালত কমিটিও গড়ে দিয়েছিল নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরির জন্যে। সেই কমিটি বেশ কিছু সুপারিশ ইতিমধ্যেই করেছে। বেশ কয়েকটি রাজ্য বিশেষ সাক্ষ্যগ্রহণ কেন্দ্র চালুতে পদক্ষেপও করেছে।
আগে ভালনারেবল উইটনেস বলতে ১৮ বছরের কমবয়সীদেরই ধরা হতো। পরে দিল্লি হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্ট যৌন-অপরাধের যাঁরা শিকার, যাঁদের মানসিক অসুস্থতা রয়েছে বা কথা বলা-শোনায় সমস্যা রয়েছে, নিরাপত্তাজনিত আশঙ্কা রয়েছে, তাদেরও ‘ভালনারেবল উইটনেস’-এর তালিকাভুক্ত করে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বলা হয়েছে, প্রতিটি জেলা আদালতে এই ‘ভালনারেবল উইটনেস ডিপোজিশন সেন্টার’-এ বিশেষ কোর্টরুম, সাক্ষ্যদানের আগে প্রশস্ত অপেক্ষা-কক্ষ তৈরি করতে হবে। এঁদের জন্যে আশ্বস্ত করার মতো পরিবেশ, অল্পবয়সিদের মানাসিক গঠন বিবেচনা করে ব্যবস্থাপনা করতে হবে।
এই কেন্দ্র পরিচালনায় বিচারক, কোর্ট-কর্মী, আইনজীবী, প্রশাসনিক লোকজন-সহ সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের কথাও বলেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি মিত্তল কমিটিই সেই প্রশিক্ষণের রূপরেখা তৈরি করছে।