গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হলে ৭ থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড হবে। ভারতে নতুন এই আইন নিয়ে সরব ক্যাব, বাস ও ট্রাক চালকরা। একাধিক ট্রাক সংগঠন এরই মধ্যে ধর্মঘট শুরু করেছে।
এমন অবস্থায় পেট্রোল পাম্পে ভিড় উপচে পড়ছে বাইক ও প্রাইভেট গাড়ির। সবাই অতিরিক্ত জ্বালানি কেনা শুরু করেছেন। ক্যাব, বাস ও ট্রাকের ধর্মঘটে আগামী দিনে পরিবহণ ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় ব্যক্তিগত গাড়ির জন্য জ্বালানি সংগ্রহ শুরু করছেন মহারাষ্ট্র ও পাঞ্জাবসহ ভারতের একাধিক রাজ্যের মানুষ।
মহারাষ্ট্রের নাগপুর, থানে, জলগাও, ধুলিয়ার পেট্রল পাম্পগুলিতে বাইক ও গাড়ির লম্বা লাইন দেখা গেছে মঙ্গলবার।
অন্যদিকে পাঞ্জাবের অমৃতসর ও পাতিয়ালাতেও একই দৃশ্য দেখা গেছে। অতিরিক্ত চাহিদায় নাগপুরের বেশ কয়েকটি পাম্পের জ্বালানি ফুরিয়েছে। ‘নো পেট্রল’ বোর্ড টাঙানো হয়েছে পাম্পে। ধর্মঘটের ছাপ পড়েছে নাসিকেও। সেখানে হাজারের বেশি গাড়ি চাক্কা বন্ধ করে বসে আছে।
প্যানিক চাহিদার জেরে থানের তিনটি পাম্পেও জ্বালনির ফুরোনোর মুখে। মুাম্বই পেট্রল পাম্প অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ট্রাক ধর্মঘটে এই পরিস্থিতি চললে আগামী কিছুদিনের মধ্যে জ্বালানির সংকট দেখা দেবে।
আরও পড়ুন>একে অপরকে ভিসামুক্ত প্রবেশাধিকার দিচ্ছে চীন-থাইল্যান্ড
গোটা দেশের বাস ও ট্রাক চালকদের দাবি, হিট এন্ড রানের নতুন আইনে চালকদের ভিলেন বানানো হয়েছে। ৭ থেকে ১০ বছরের সাজা কমিয়ে ১ থেকে ২ বছরের করা উচিত। জাতীয় সড়কগুলোতে ট্রাক থামিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন চালাকরা। যদিও এখনও পর্যন্ত সরকার পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
সূত্র: এনডিটিভি