কলকাতায় মেট্রোর কাজ সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে ফের দেখা দিল আতঙ্ক। যার ফলে কলকাতার বউবাজার এলাকার অনেক বাসিন্দা ঘর ছাড়তে শুরু করেছেন।
জানা গেছে, মেট্রোর কাজ চলাকালীন বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে মধ্য কলকাতার বৌবাজারের দুর্গা পিতুরি লেনের বেশ কয়েকটি বাড়িতে ফাটল দেখা গেছে। যার ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে আতঙ্কে ঘর ছেড়েছে অনেক পরিবার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান মেট্রো কর্মকর্তারা। গেছেন স্থানীয় কাউন্সিলর বিশ্বরূপ দে এবং স্থানীয় চৌরঙ্গীর বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্থানীয়দের দাবি, এলাকার অন্তত আট থেকে ১০টি বাড়িতে ফাটল দেখা গেছে।
সংবাদমাধ্যম ওয়ান ইন্ডিয়া বাংলা বলছে—মেট্রোর কর্মকর্তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, ভূগর্ভে মাটি কাটার মেশিন বের করে নেওয়ার কারণে ফাটলের ঘটনা ঘটতে পারে। তবে, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান মেট্রোর কর্মকর্তারা।
এদিকে, বুধবার মধ্যরাতে বিভিন্ন বাড়িতে ফাটল ধরার পড়ার পরেই মেট্রোর কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছে পুলিশ বাহিনী ও কলকাতা পৌরসভার কর্মীরা। পুলিশের তরফ থেকে এলাকায় মাইকে প্রচার করা হয়—যাঁরা বাড়ির ভেতরে আছেন, তাঁদের বাইরে বেরিয়ে আসতে অনুরোধ করা হয়।
এরই মধ্যে ওই এলাকার বাসিন্দাদের অন্যত্র নিরাপদে সরিয়ে নিতে যৌথভাবে চেষ্টা করছে মেট্রো ও পৌরসভা।
স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন বাড়িতে বিকেল থেকে ফাটল ধরা শুরু হয়। অনেকেই জরুরি জিনিসপত্র নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসেন।
স্থানীয়দের মতে, অনেক বাড়িতে ফাটল বেশ বড় আকার নিয়েছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন এলাকাবাসী। তাঁদের একাংশের অভিযোগ—২০১৯ সালেও একাধিক বাড়িতে ফাটল ধরেছিল। মেট্রো কর্তৃপক্ষ সেগুলো মেরামত করার পরেও কয়েকটিতে এবারও ফাটল ধরল। তা হলে কি ওই সময় সঠিকভাবে মেরামতের কাজ হয়নি—অভিযোগ স্থানীয়দের।
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত বারের ঘটনার পর মেট্রোর সুড়ঙ্গে নজরদারির জন্য ক্যামেরা বসানো হয়েছিল। যাতে বড় কিছু ঘটলে সহজেই জানা যায়। ওই ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া কর্মকর্তারা সুড়ঙ্গে গিয়ে বোঝার চেষ্টা করছেন, সেখানেও ফাটল ধরে পানি ঢুকে পড়ছে কি না।
২০১৯ সালে বৌবাজারে যে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল, তার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে তৎপর পৌরসভা।