চাদে স্বর্ণখনিতে শ্রমিকদের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত ১০০ শ্রমিক নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ৪০ জন। সোমবার এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল দাউদ ইয়াইয়া ব্রাহিম।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ২৩ মে লিবিয়া সীমান্তের কাছে কৌরি বোগৌদিতে ঘটনার সূত্রপাত হয়।
দুই শ্রমিকের তর্ক থেকে এই ভয়াবহ সংঘর্ষ শুরু হয় বলে জানান জেনারেল দাউদ ইয়াইয়া ব্রাহিম। তিনি জানান, ওই সংঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০ জন শ্রমিক নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল রাজধানী এনজামেনা থেকে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দূরে মধ্য সাহারার একটি অসম ও কার্যত আইনহীন এলাকা তিবেস্তি পর্বতমালা।
চাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সংবাদমাধ্যম এএফপি-কে ফোনে ঘটনাস্থল থেকে জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এবারই প্রথম নয়, স্বর্ণখনিতে শ্রমিকদের মধ্যে আগেও সংঘর্ষ হয়েছে। আপাতত আমরা স্বর্ণখনির কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
ঘটনাটি গত বুধবার প্রথম প্রকাশ্যে আসে। তখন চাদের যোগাযোগ মন্ত্রী আব্দেরামান কৌলামাল্লা এক বিবৃতিতে বলেন, সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে আহতও হয়েছেন।
এদিকে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে অত্যধিক বলপ্রয়োগ ও হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ওই অঞ্চলের এক বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিলিটারি কমান্ড রেসকিউ কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলেছে, সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে।
প্রায় ১০ বছর আগে চাদের তিবেস্তি পর্বতমালায় স্বর্ণখনি পাওয়া যায়। তারপরই চাদ এবং প্রতিবেশী দেশগুলো থেকে সেখানে ব্যাপক হারে খনি শ্রমিকদের আগমন ঘটে। সেখানে শ্রমিকদের বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় এবং প্রায়ই পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে ওঠে।
ইয়াইয়া ব্রাহিম জানিয়েছেন, এবার মরিটানিয়া ও লিবিয়ার শ্রমিকরা রক্তাক্ত সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। চাদের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মহামাত নুর ইবেদু এএফপিকে বলেছেন, লড়াই শুরু হওয়ার পর সরকার বাহিনী পাঠিয়েছিল, তারাই মানুষের ওপর গুলি চালায়।