
ময়নাগুড়িতে এটিএম থেকে ৫৪ লক্ষ টাকা লুটের ঘটনায় অবশেষে বড়সড় সাফল্য পেল পুলিশ। দুর্ধর্ষ এই ডাকাতির পর বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা, কিন্তু সপ্তাহান্তে দীর্ঘ তল্লাশি অভিযানের পর আজ ভোরে দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম আসলুপ খান (হরিয়ানা) এবং মহম্মদ সামসের খান (বিহার)।
ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার রাতে, যখন ময়নাগুড়ির একটি এটিএম থেকে প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকা লুট করে পালিয়েছিল একদল দুষ্কৃতী। তাদের পরিকল্পনা ছিল সুদূরপ্রসারী, কিন্তু জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশের তাৎক্ষণিক তৎপরতায় তাদের পালানোর ছক ভেস্তে যায়। পুলিশি তাড়া খেয়ে গজলডোবা এলাকায় নিজেদের গাড়ি ফেলে বৈকুণ্ঠপুরের ঘন জঙ্গলে আশ্রয় নেয় দুষ্কৃতীরা।
পুলিশের সন্দেহ ছিল, লুটেরারা জঙ্গলের গভীরে লুকিয়ে আছে। এর পরই জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশ এবং শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের যৌথ উদ্যোগে, বন দপ্তরের সহযোগিতায় শুরু হয় এক ব্যাপক তল্লাশি অভিযান। শনিবার সারাদিন জঙ্গলের প্রতিটি কোণায় চিরুনি তল্লাশি চালানো হয়। একই সঙ্গে গজলডোবা-ফুলবাড়ি ক্যানাল রোড, ফুলবাড়ি মার্ডার মোড়, তিনবাতি, নৌকাঘাট-সহ শহর এবং শহরতলির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নাকা তল্লাশি চলে।
রাতভর অভিযান চালিয়ে অবশেষে রবিবার ভোরে বৈকুণ্ঠপুর জঙ্গলের গভীর এলাকা থেকে দুই অভিযুক্তকে পাকড়াও করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, চুরি হওয়া ৫৪ লক্ষ টাকার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ১৫ লক্ষ টাকা এই দু’জনের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকা এবং অন্য অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পুলিশের এই দ্রুত এবং সমন্বিত পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন স্থানীয়রা। এই ঘটনা প্রমাণ করে দিল, অপরাধ করে জঙ্গলে লুকিয়েও শেষ পর্যন্ত পুলিশের চোখে ধুলো দেওয়া সম্ভব নয়।